লিটনের ব্যাটে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি বাংলাদেশের

ওয়ানডে সিরিজের তিন ম্যাচেই ব্যর্থ। দুই ম্যাচে তো রানের খাতাই খুলতে পারেননি। সেই বৃত্ত ভাঙতে পারেননি আগের দুই টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও। অথচ বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপের অন্যতম স্তম্ভ লিটন কুমার দাস। দেরিতে হলেও জ্বলে উঠলেন এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। খেললেন দারুণ এক ইনিংস। দারুণ ব্যাটিং করেন নাজমুল হোসেন শান্তও। তাতে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পেয়েছে টাইগাররা।

মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ১৫৯ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ২ উইকেটে ১৫৮ রান করতে সমর্থ হয় টাইগাররা।

এদিন শুরুতে কিছুটা নড়বড়ে ছিলেন লিটন। প্রথম বাউন্ডারি আসে ব্যাটের কানায় লেগে। ভাগ্য সঙ্গে থাকায় বল স্টাম্পে লাগেনি। তবে এরপর ধীরে ধীরে নিজেকে ফিরে পেতে থাকেন। খেলতে থাকেন একের পর এক দারুণ শট। শেষ পর্যন্ত ৭৩ রানের ইনিংস খেলে আউট হন তিনি। ৫৭ বলে ১০টি চার ও ১টি ছক্কায় সাজান নিজের ইনিংস।

বাংলাদেশ সফরে এদিনই প্রথম টস জিতে নেয় ইংল্যান্ড। আগে ফিল্ডিং বেছে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান অধিনায়ক জশ বাটলার। রনি তালুকদারকে নিয়ে শুরুটা দারুণ করেন লিটন। ৫৫ রানের ওপেনিং জুটি গড়েন তারা। তবে এ জুটি ভাঙতে পারতো আগেই। ব্যক্তিগত ১৭ রানে জোফরা আর্চারের বলে মিডঅনে সহজ ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন রনি। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে ছেড়ে দেন রেহান আহমেদ।

তবে জীবন পেয়ে ইনিংস লম্বা করতে পারেননি রনি। এক ওভার পরই বোলার আদিল রশিদের হাতে ক্যাচ তুলে সাজঘরে ফিরেছেন। রিভার্স সুইপ করতে গেলে বল ব্যাটের কানায় লাগলে চলে যায় বোলারের হাতে। ২২ বলে ৩টি চারের সাহায্যে ২৪ রান করেন এ ওপেনার। রনির বিদায়ের পর উইকেটে আসেন শান্ত। লিটন দাসের সঙ্গে দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন এ ব্যাটার। তৃতীয় উইকেটে স্কোরবোর্ডে ৮৪ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটার।

এ জুটিও আগেই ভাঙতে পারতো ইংলিশরা। ফিফটি তোলার পরপরই মিডউইকেট সীমানায় ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন লিটন। এবার তার সহজ ক্যাচ ছেড়ে দেন বেন ডাকেট। এবারও দুর্ভাগা বোলারের নাম আর্চার। বাংলাদেশের রানের গতি তখন বাড়ছিল হুহু করে। ১৪ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ তখন ১ উইকেটে ১২২ রান। কিন্তু এরপরই দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করতে থাকেন ইনিংসরা। শেষ ছয় ওভারে ৩৬ রান খরচ করে দলটি। শেষ ৩৪ বলে বাউন্ডারি আসে মাত্র ১টি।

এরমাঝেই লিটনকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন ক্রিস জর্ডান। মিডউইকেটে ফিল সল্টের হাতে ক্যাচ তুলে দেন এ উইকেটরক্ষক ব্যাটার। রানের গতি বাড়াতে পারেননি শান্তও। ১৪ বলে ২৫ রান করা এ ব্যাটার শেষ পর্যন্ত ৩৬ বলে খেলেন অপরাজিত ৪৭ রানের ইনিংস। অর্থাৎ বাকি ২২ রান করতে বল খেলেছেন ২২টি। সাকিব শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ বলে ৪ রান করে অপরাজিত থাকেন।

Comments

The Daily Star  | English

Admin getting even heavier at the top

After the interim government took over, the number of officials in the upper echelon of the civil administration has become over three times the posts.

12h ago