তবুও হতাশ তামিম

হোয়াইটওয়াশ হওয়ার দ্বারপ্রান্তে ছিল বাংলাদেশ। তবে বাঁহাতি তারকা সাকিব আল হাসানের অলরাউন্ড নৈপুণ্য গড়ে দিল ব্যবধান। হার মানল ওয়ানডের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। তারপরও তামিম ইকবাল প্রকাশ করলেন হতাশা। বাংলাদেশ অধিনায়কের আফসোস ঘরের মাঠে সিরিজ হার নিয়ে।

সোমবার চট্টগ্রামে তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে ৫০ রানে জিতেছে স্বাগতিকরা। তবে সিরিজ তাদের হাতছাড়া হয়ে গিয়েছিল আগেই। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে আগের দুই ওয়ানডেতে ইংলিশরা জিতেছিল যথাক্রমে ৩ উইকেট ও ১৩২ রানে।

চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এদিন টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম ও সাকিবের ফিফটিতে অলআউট হওয়ার আগে ২৪৬ রান করতে পারে তারা। লক্ষ্য তাড়ায় জস বাটলারের দল গুটিয়ে যায় ১৯৬ রানে। মন্থর উইকেটে বল হাতেও ভেলকি দেখান ম্যাচসেরা সাকিব। ব্যাট হাতে ৭১ বলে ৭৫ রানের আগ্রাসী ইনিংসের পর তিনি নেন ৩৫ রানে ৪ উইকেট। পাশাপাশি ওয়ানডেতে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ৩০০ উইকেটের মাইলফলকও স্পর্শ করেন।

প্রথম ওয়ানডেতে ব্যাটিংয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে থেকেও মাত্র ২০৯ রান করেছিল বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে ১৬১ রানে ৭ উইকেট খুইয়ে ফেলেছিল ইংলিশরা। এরপর ডাভিড মালান অপরাজিত সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে জয়বঞ্চিত করেন তামিমের দলকে। নইলে সিরিজের ফল অন্যরকম হতে পারত।

তৃতীয় ম্যাচে এসে জয়ের স্বাদ মিললেও হতাশা সরছে না তামিমের মন থেকে, 'আমরা এই ম্যাচের দিকে তাকিয়ে ছিলাম। আমি আগেও বলেছিলাম যে আমরা দারুণ কিছু করে শেষ করতে চাই। তবুও আমি হতাশ, কারণ আমরা সিরিজ হেরেছি। ওয়ানডে সংস্করণে নিজেদেরকে নিয়ে আমরা গর্ব করি। বিশেষ করে, আমরা যখন ঘরের মাঠে খেলি।'

প্রথম ওয়ানডেতে হারের জন্য ব্যাটিং ব্যর্থতাকে ফের কাঠগড়ায় তোলেন বাংলাদেশ দলনেতা, 'প্রথম ম্যাচে আমরা ২-৩ উইকেট (মূলত ৪ উইকেট) হারিয়ে ১৫০ রান করে ফেলেছিলাম। তবে শেষ পর্যন্ত আমরা ২০৭ রান (মূলত ২০৯ রান) করতে পারি। ওখানেই খেলাটা শেষ হয়ে যায়।'

এই ম্যাচেও বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের শেষটা হয়নি প্রত্যাশিত। এক পর্যায়ে, ৩২ ওভারে তাদের সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ১৫২ রান। কিন্তু মাত্র ৩৪ রানে শেষ ৫ উইকেট পড়ে যায়। মাঝারি পুঁজি নিয়ে সাকিবের সঙ্গে তাইজুল ইসলাম ও একাদশে ফেরা ইবাদত হোসেন করেন দারুণ বোলিং। তাদেরকে প্রাপ্য কৃতিত্ব দেন তামিম, 'আজও আমরা সেরা খেলাটা খেলতে পারিনি। আমরা যে অবস্থানে ছিলাম, আমাদের ২৭০-২৮০ রান করা উচতি ছিল। তবে আমার মনে হয়, বোলিংয়ে চমৎকার চেষ্টা ছিল সবার।'

ঘরের মাটিতে টানা সাতটি ওয়ানডে সিরিজ জেতার পর হারের তিক্ত স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ। সেই ইংল্যান্ডই থামিয়েছে তাদের জয়রথ। এর আগে ২০১৬ সালের অক্টোবরে থ্রি লায়ন্সদের কাছে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছিল লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। মাঝে বাংলাদেশ সিরিজ জেতে জিম্বাবুয়ে (দুবার), ওয়েস্ট ইন্ডিজ (দুবার), শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে।

Comments

The Daily Star  | English

Public admin reforms: Cluster system may be proposed for ministries

The Public Administration Reform Commission is likely to recommend reducing the number of ministries and divisions to 30 from 55 to improve coordination and slash the government’s operational cost.

8h ago