‘তাসকিন খুব চিত্তাকর্ষক’, উড জানালেন মুগ্ধ পুরো ইংল্যান্ড দলই

Taskin Ahmed

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রাপ্তি তেমন কিছু নেই। হতাশার সিরিজে একমাত্র আশার দ্বীপ জ্বালিয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ। আগ্রাসী বল করে প্রতিপক্ষের মনও কেড়েছেন ডানহাতি পেসার। ইংলিশ গতিময় পেসার মার্ক উড জানালেন, শুধু তিনি কেন পুরো ইংল্যান্ড দলই মুগ্ধ তাসকিনের নৈপুণ্যে।

মিরপুরে প্রথম ওয়ানডেতে স্রেফ ২১০ রান ডিফেন্ড করতে গিয়ে তাসকিনের দারুণ স্পেলে চাপে পড়েছিল ইংল্যান্ড। ব্যাটারদের চেপে রেখে  শুরুতে একদম রানই দিচ্ছিলেন না তিনি। গুরুত্বপূর্ণ ফেইজে জস বাটলারকে আউট করে বাংলাদেশের জেতার সম্ভাবনাও জাগিয়েছিলেন। সেদিন ৯ ওভারের ২৬ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন তাসকিন। উইকেট সংখ্যা আসলে বোঝাতে পারছেন না তার আসল ছবি।

দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও শুরুতে ভালো বল করেন তাসকিন। শেষ দিকে মার খাওয়ায় কিছু বাড়তি রান দিয়েছেন। তবে দলের সবচেয়ে বেশি ৩ উইকেট নেন তিনিই।

চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে রোববার দলের অনুশীলনের ফাঁকে গণমাধ্যমের সামনে আসেন উড। এক প্রশ্নের জবাবে তাসকিনকে নিয়ে মুগ্ধতার কথা জানান তিনি,  'তাসকিন খুব চিত্তাকর্ষক। আমার মনে হয় সে সবাইকেই মুগ্ধ করেছে, শুধু আমি না। পুরো দলই বলছিল কী দারুণ বল সে করেছে। এবং খুব গতিতেও করেছে। ভালো জায়গায় বল ফেলেছে।'

প্রথম ম্যাচে তাসকিনের বোলিং দেখে এই কন্ডিশনে কীভাবে বল করতে হয় সেটা শিখেছেন উড-আর্চাররা। দ্বিতীয় ম্যাচে নেমে উডরা সেটা কাজে লাগিয়েছেন ভালোভাবে, 'প্রথম খেলায়, আমাদের পেসারদের বরং সেই দেখিয়েছে কোথায় বল করতে হয়। তার পারফরম্যান্স থেকে আমরা অনেক কিছু নিয়েছি। আমি, জোফরা (আর্চার) এবং ওয়াকসি (ক্রিস ওকস) নিয়েছি। যে জায়গায় সে বল করেছে আমরা খুবই চাপে পড়েছি। সে আঁটসাঁট ছিল। শুধু উইকেট নেয়নি, রানও আটকে রেখেছিল। দুর্দান্তভাবে চিত্তাকর্ষক, যার বিপক্ষে খুব ভালো খেলতে হবে। আমি চাই না সে খারাপ করুক। তবে অনেক উইকেট নিয়ে ম্যাচ একপেশে করে ফেলবে এটাও আশা করি না।'

তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডের আগের দিন দলের ঐচ্ছিক অনুশীলনে আসেননি তাসকিন। টানা খেলার চাপ থেকে এই পেসারকে মুক্তি দিতে সোমবার বিশ্রামেও রাখা হতে পারে।

Comments

The Daily Star  | English

Exports under strain as India slaps more restrictions

Industry insiders say the new restrictions could deepen Bangladesh's export woes at a time when global demand remains fragile and other sectors—from garments to processed foods—also face trade hurdles

52m ago