অক্সিজেন সিলিন্ডার থেকে বিস্ফোরণের সূত্রপাত, ধারণা ফায়ার সার্ভিসের

বিস্ফোরণে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কদমরসুলে সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্ট। ছবি: রাজীব রায়হান

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কদমরসুলে সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনায় আজকের মতো উদ্ধার অভিযান শেষ করেছে ফায়ার সার্ভিস। রোববার সকালে আবার উদ্ধার কাজ শুরু হবে।

রাতে বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শন শেষে চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আব্দুল মালেক সাংবাদিকদের বলেন, 'প্রাথমিক অবস্থায় মনে হচ্ছে সিলিন্ডার থেকেই বিস্ফোরণের সূত্রপাত। যেখানে সিলিন্ডার রিফিল হয় সেখানে আমরা তেমন কিছু পাইনি। এক থেকে দেড় মিনিটের মধ্যে রিফিলের কাজ শেষ হয়। হয়তো কোনো সিলিন্ডারে ব্লাস্টিং ক্যাপাসিটি কম ছিল।'

আজ বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ঘটা এই বিস্ফোরণে ৬ জন নিহত হওয়ার কথা জানা গেছে হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে। শক্তিশালী বিস্ফোরণে পুরো অক্সিজেন প্ল্যান্টটি লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। বিস্ফোরণের প্রভাব পড়েছে প্ল্যান্টের পাশের এলাকাতেও। আশপাশের বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের জানালার কাঁচ ভেঙে লোকজন আহত হয়েছেন।

ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা আব্দুল মালেক জানান, বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। সাড়ে ৬টায় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। আগুন অনেক বড় ছিল। মোট নয়টি ইউনিট এখানে কাজ করেছে।'

তিনি আরও বলেন, 'যখন আমরা ঘটনাস্থলে আসি তখন একজনকে নিহত পাই। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর ভেতর থেকে আরও দুইটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় জনগণও উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছে।'

আজকের মতো উদ্ধার অভিযান শেষ করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের নিজস্ব আরেকটি তদন্ত কমিটি হবে, তারা বিস্ফোরণের টেকনিক্যাল কারণ ব্যাখ্যা করবে। আগামীকাল সকালে আবার আমাদের অভিযান শুরু হবে।

প্রতিষ্ঠানটির কাগজপত্র হালনাগাদ ছিল কিনা আর নিয়মিত সিলিন্ডার পরীক্ষা করা হতো কিনা তা ফায়ার সার্ভিস খতিয়ে দেখবে বলেও তিনি জানান।

Comments

The Daily Star  | English

How Chattogram built its economic legacy

Picture a crowded harbour where the salty seabreeze carries whispers of far-off lands, where merchants of all creed and caste haggle over silks and spices, and where towering ships of all varieties – Chinese junks, Arab dhows, and Portuguese carracks – sway gently in the waters of the Bay of Bengal.

13h ago