কক্সবাজার

নদী দখলের খবর সংগ্রহে যাওয়া সাংবাদিকদের গুলির হুমকি

সোমবার কক্সবাজারে বাঁকখালী নদীতীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে প্রশাসন অভিযান চালায়। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারে বাঁকখালী নদী দখলমুক্ত করার অভিযানের খবর সংগ্রহ করতে যাওয়া সাংবাদিকদের গুলি করার হুমকি দিয়েছেন অবৈধ দখলদাররা।

সাংবাদিকদের অভিযোগ, আজ মঙ্গলবার বাকঁখালী নদী দখলমুক্ত করতে প্রশাসনের অভিযান চলাকালে চিহ্নিত ভূমিদস্যুদের একটি চক্র তাদের ওপর হামলা করে।

দুপুর ২টার দিকে দখলদার চক্রের অন্যতম হোতা আবদুল খালেক চৌধুরী তার লাইসেন্স করা বন্দুক সাংবাদিকদের গুলি করার হুমকি দেন।

বেসরকারি টেলিভিশন ডিবিসি ও অনলাইন পোর্টাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কমের কক্সবাজারের প্রতিবেদক শংকর বড়ুয়া রুমি, কালের কণ্ঠের বিশেষ প্রতিবেদক তোফায়েল আহমদসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিক এ অভিযোগ তুলেছেন।

তারা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আওয়ামী লীগ নেতা ও মহেশখালী উপজেলার শামলাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল খালেক চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে বাঁকখালী নদী দখলদার চক্রের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। তার বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে মামলাও আছে। আজ দুপুরে জেলা প্রশাসন বাকঁখালী নদীতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করে।'

'আবদুল খালেকের গড়ে তোলা স্থাপনা উচ্ছেদ করার সময় সংবাদ সংগ্রহে যাওয়া সাংবাদিকদের গালিগালাজ করেন আবদুল খালেক তার সহযোগীরা। তার আপত্তিকর আচরণের বিরোধিতা করলে তার লোকজন সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায় এবং ক্যামেরা কেড়ে নিতে চেষ্টা করে। আবদুল খালেক এক পর্যায়ে তার লাইসেন্স করা বন্দুক দিয়ে গুলি করারও হুমকি দেন,' বলেন তারা।

এ সময় পুলিশ ছেলেকে আটক করলে আবদুল খালেক ছেলেকে ছিনিয়ে নেন বলেও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। 

খবর পেয়ে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক, কক্সবাজার প্রেসক্লাব ও কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আবদুল খালেককে গ্রেপ্তারের দাবি জানান। 

এ অবস্থায় এক পর্যায়ে আবদুল খালেক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে আব্দুল খালেকের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

জানতে চাইলে উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্বদানকারী কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আবদুল খালেকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।'

এর আগে সকালে এ উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে ৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন।

অভিযানে বাঁকখালী নদীতীরের অন্তত ২০০ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে বলে জানান আবু সুফিয়ান।

তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'একজন অবৈধ দখলদার তার অবস্থান বা যাই পরিচয় থাকুক না কেন তিনি আমাদের বিবেচনায় শুধু দখলদার। উচ্ছেদ কার্যক্রমে কোনো অবৈধ দখলদারকে ছাড় দেওয়া হবে না। উচ্ছেদের পাশাপাশি প্রয়োজনে অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Cyber protection ordinance: Draft fails to shake off ghosts of the past

The newly approved draft Cyber Protection Ordinance retains many of the clauses of its predecessors that drew flak from across the world for stifling freedom of expression.

7h ago