নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

দক্ষিণ আফ্রিকার স্বপ্ন ভেঙে ফের শিরোপা অস্ট্রেলিয়ার

কেপটাউনে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ১৯ রানে জিতেছে অজিরা। টস জিতে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৫৬ রান তোলে তারা। জবাবে ৬ উইকেটে ১৩৭ রান পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে স্বাগতিকরা।
Australia Women

ইতিহাস গড়ার হাতছানি ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে। সেই লক্ষ্য পূরণে লম্বা সময় পর্যন্ত লড়াইয়ে থাকল তারা। কিন্তু মেলানো হলো না সমীকরণ। তাদের স্বপ্ন ভেঙে ফের নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ঘরে তুলল অস্ট্রেলিয়া।

রোববার কেপটাউনে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ১৯ রানে জিতেছে অজিরা। টস জিতে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৫৬ রান তোলে তারা। জবাবে ৬ উইকেটে ১৩৭ রান পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে স্বাগতিকরা।

নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অস্ট্রেলিয়ার এটি টানা তৃতীয় ও সবমিলিয়ে রেকর্ড ষষ্ঠ শিরোপা। এই সংস্করণে এই নিয়ে দুবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার হ্যাটট্রিক গড়ল তারা। ২০১০, ২০১২, ২০১৪ সালে টানা জেতার পর ২০১৮, ২০২০ ও ২০২৩ সালে বিশ্ব জয়ের হাসি হাসল দলটি। অন্যদিকে, প্রথমবারের মতো আসরের ফাইনালে উঠে ইতিহাস গড়া প্রোটিয়াদের শেষ ধাপটি রাঙানো হলো না। রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো তাদের।

ফাইনালের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতা বেথ মুনি অপরাজিত ৭৪ রানের ইনিংস খেলেন। ৫৩ বল মোকাবিলায় তিনি মারেন ৯ চার ও ১ ছক্কা। ওপেনিংয়ে নেমে ইনিংসের শেষ পর্যন্ত টিকে থাকেন তিনি।

অজিদের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি গড়ায় মূল ভূমিকা রাখা মুনি বেশ কয়েকটি ভালো জুটি গড়েন সতীর্থদের সঙ্গে। অ্যালিসা হিলির সঙ্গে তার উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৩১ বলে ৩৬ রান। দ্বিতীয় উইকেটে অ্যাশলি গার্ডনারকে তিনি যোগ করেন ৪১ বলে ৪৬ রান।

পঞ্চম উইকেটে এলিস পেরির সঙ্গে মুনির জুটিতে আসে মাত্র ১৫ বলে ৩৩ রান। সেখানে তারই অবদান ছিল ১০ বলে ২৫ রান। ডেথ ওভারে ভীষণ আগ্রাসী হয়ে ওঠেন তিনি। ৪৪ বলে হাফসেঞ্চুরি ছোঁয়া মুনি পরের ৭ বলে করেন ২১ রান। নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে দুটি ফিফটি করা প্রথম ক্রিকেটার তিনি।

মুনি ছাড়া বিশের ঘরে যান কেবল গার্ডনার। তার ব্যাট থেকে আসে ২১ বলে ২৯ রান। এছাড়া, হিলি ২০ বল খেলে করেন ১৮ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ২ উইকেট করে নেন শাবনাম ইসমাইল ও মারিজান ক্যাপ।

লক্ষ্য তাড়ায় নামা প্রোটিয়াদের পক্ষেও একজনই বড় স্কোর গড়েন। ১৭তম ওভারে আউট হওয়া ওপেনার লরা ভোলভার্ট করেন ৬১ রান। ৪৮ বলের ইনিংসে তিনি মারেন ৫ চার ও ৩ ছক্কা। তবে তার একার লড়াই যথেষ্ট হয়নি বাকিদের সহায়তার অভাবে।

একাদশ ওভারে ৫৪ রানে তৃতীয় উইকেটের পতন হয় দক্ষিণ আফ্রিকার। চাকায় গতি আসে চতুর্থ উইকেটে। ক্লোয়ি টাইরনের সঙ্গে ৩৭ বলে ৫৫ রানের জুটি গড়েন ভোলভার্ট। তারপরও প্রয়োজনীয় ওভারপ্রতি রানের চাহিদা ছিল অনেক। কারণ, টাইরনের মন্থর ব্যাটিং। মেগান শুটের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ভোলভার্ট ফিরলে সেখানেই কার্যত শেষ হয়ে যায় জয়ের সম্ভাবনা।

টাইরন ২৩ বলে করেন ২৫ রান। এর আগে আরেক ওপেনার ট্যাজমিন ব্রিটস পাওয়ার প্লে কাজে লাগাতে পুরোপুরি ব্যর্থ হন। ১০ রান করতে তিনি খেলেন ১৭ বল। প্রতিপক্ষের রান তোলার গতি নিয়ন্ত্রণে থাকতে অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা রাখেন সম্মিলিত অবদান।

Comments

The Daily Star  | English

Wage growth still below inflation

Unskilled workers wage grew 8.01% in September this year when inflation was 9.92%

1h ago