‘কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে ছাত্রলীগ নেত্রীর ক্ষমা চাওয়ার’ উত্তরে যা বললেন ফুলপরী

ফুলপরী
মা-বাবার সঙ্গে ফুলপরী। ছবি: আহমেদ হুমায়ুন কবির তপু/স্টার

নির্যাতনের শিকার কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুন বলেছেন, 'এটি ক্ষমা করার মতো বিষয় নয়। তারা ক্ষমা চাইলেই আমি এটা করতে পারি না। বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির কাছে অভিযুক্ত ছাত্রীদের প্রত্যেকের অপরাধ আমি তাদের সামনেই নির্ভীকভাবে তুলে ধরেছি।'

আজ বুধবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গঠিত তদন্ত কমিটির সামনে বক্তব্য দেওয়ার পর রাতে পাবনার শিবপুর গ্রামে ফিরে এসে ফুলপরি দ্য ডেইলি স্টারকে টেলিফোনে এ কথা বলেন।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় তদন্ত কমিটির ডাকে ফুলপরী বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন। তদন্ত কমিটি এদিন ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তাবাসসুম ইসলামসহ অভিযুক্ত ৫ ছাত্রীকে ফুলপরীর সামনে হাজির করেন। তার কাছে সেদিনের ঘটনা এবং কার কি ভুমিকা ছিল সে বিষয়ে জানতে চান তদন্ত কমিটির সদস্যরা।

ফুলপরি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি তদন্ত কমিটির কাছে সেদিনের ঘটনার পুরো বর্ণনা দিয়েছি। তাদের প্রত্যেককে চিনিয়ে দিয়েছি। কে কি করেছে তাও বলেছি।'

এ সময় তিনি ভয় পেয়েছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমি নির্ভয়ে সব কথা তদন্ত কমিটির সামনে তুলে ধরেছি।'

ফুলপরি বলেন, 'এ সময় অভিযুক্ত অন্তরা আপু (সানজিদা চৌধুরী) আমার কাছে কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে ক্ষমা চান। আমাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমার সঙ্গে এরকম কোরো না।'

তবে তিনি তাদের এ কথার কোনো জবাব দেননি বলে জানান ফুলপরী। এরপর তদন্ত কমিটি তাকে ঘর থেকে বের করে নিয়ে আসেন বলে জানান তিনি।

অভিযুক্তদের ক্ষমা করবেন কি না জানতে চাইলে ফুলপরী বলেন, 'এটা ক্ষমা করার মতো কোনো ঘটনা নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে সুষ্ঠু পরিবেশের স্বার্থে এবং সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার স্বার্থে আমি এ অপরাধের বিচার চাই।'

ফুলপরী আরও বলেন, 'আমি লেখাপড়ার মাধ্যমে এগিয়ে যেতে চাই। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাকে আশ্বস্ত করেছে, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই আমি আবার স্বাভাবিকভাবে ক্লাসে ফিরতে পারব।'

 

Comments

The Daily Star  | English

Poll irregularities: Sedition among 3 new charges added against three ex-CECs

BNP filed a case against 24 individuals, including three former chief election commissioners, 10 election commissioners, and top government and police officials, for their alleged role in irregularities during national polls in 2014, 2018, and 2024

32m ago