আগামী বর্ষায় ১৫ মিনিটে পানি নিষ্কাশন করা হবে: মেয়র তাপস

বুধবার দুপুরে রাজধানীর ওয়ারীতে সড়কের নর্দমা পরিষ্কার কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন মেয়র তাপস। ছবি: সংগৃহীত

অতিবৃষ্টি হলেও আগামী বর্ষায় ১৫ মিনিটের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকার বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে বলে মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস জানিয়েছেন। 

আজ বুধবার দুপুরে নগরীর ওয়ারীর র‍্যাংকিন স্ট্রিট সংলগ্ন সড়কের নর্দমা পরিষ্কার কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মেয়র এ কথা বলেন। 

তিনি বলেন, 'প্রথম বছরে আমরা এক ঘণ্টার মধ্যে পানি নিষ্কাশনে সফল হয়েছি। গত বছর আমরা আধা ঘণ্টার মধ্যে পানি নিষ্কাশনে সফল হয়েছি। সিত্রাং ঘূর্ণিঝড় হওয়ার পরেও ঢাকায় মাত্র ৯টি জায়গা ছাড়া আর কোথাও পানি জমে থাকেনি।'

'এবার আমাদের লক্ষ্যমাত্রা হলো, অতিবৃষ্টি হলেও ১৫ মিনিটের মধ্যেই যেন ঢাকাবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত করতে পারি,' বলেন তিনি।

বাৎসরিক সূচি অনুযায়ী নিয়মিতভাবে খাল, নর্দমা ও বক্স কালভার্ট পরিষ্কার করার কারণে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন সহজ হয়েছে জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, 'ওয়াসা আমাদের কাছে হস্তান্তরের পর বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগে জলাবদ্ধতা নিরসনে আমরা বাৎসরিক সূচি অনুযায়ী প্রতি বছরই সব নর্দমা, নালা পরিষ্কার করি। এ কার্যক্রম সরেজমিন পরিদর্শনে আজ আমরা ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে এসেছি।'

তিনি বলেন, 'আমরা দেখেছি এই নর্দমাগুলো প্রতিবছর একদম ভরে যায়। ড্রেনে যেমন বিভিন্ন ধরনের (গৃহস্থালি) সামগ্রী পাওয়া যায়, তেমনি পায়:বর্জ্যও পাওয়া যায়। আমরা এগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করার ব্যবস্থা নিয়েছি। এর সুফল আমরা গত দুই বছর ঢাকাবাসীকে দিতে পেরেছি। এই নর্দমা, বক্স কালভার্ট ও খালগুলো পরিষ্কার করার কারণে পানি নিষ্কাশন এখন সহজ হয়েছে।'

জলাবদ্ধতা নিরসনে নগরবাসীর সহযোগিতা ও সচেতনতা কামনা মেয়র বলেন, 'নর্দমায় কাঠের টুকরো, টাইলস, কমোড, বালিশ, ফুটবল, প্লাস্টিক সামগ্রী থেকে শুরু করে এমন কিছু নেই যা পাওয়া যায় না। নগরবাসীকে আরও সচেতন হওয়ার অনুরোধ করব। আপনারা দয়া করে এসব ড্রেনে ফেলবেন না।'

Comments

The Daily Star  | English

Shutdown is another economic peril

Vowing to continue an indefinite work stoppage and stage a protest march on tax offices, the NBR Reform Unity Council has intensified its demands

7h ago