যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি স্থগিত পুতিনের

জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যকার পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি 'নিউ স্টার্ট' স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। 

বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে পুতিন বলেন, 'আমি আজ এ ঘোষণা দিতে বাধ্য হলাম যে, স্ট্র্যাটেজিক অফেনসিভ আর্মস ট্রিটিতে অংশগ্রহণ স্থগিত করছে রাশিয়া।'

তিনি আরও বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্র যদি দ্রুত পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালায়, তাহলে রাশিয়ারও পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হওয়া দরকার।'

বিবিসি জানায়, পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে শুধু নিউ স্টার্ট চুক্তিই কার্যকর ছিল। ২০২১ সালে চুক্তির মেয়াদ ৫ বছরের জন্য বাড়িয়েছিল দুই দেশ।

২০১০ সালে করা এই চুক্তিতে উভয় দেশের সর্বোচ্চ ১ হাজার ৫৫০টি দূরপাল্লার পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের সুযোগ ছিল। 

চুক্তি স্থগিতের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান

এদিকে, রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে 'নিউ স্টার্ট' চুক্তি স্থগিতের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন ন্যাটো প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ। 

তিনি বলেন, 'পুতিন যুদ্ধ অব্যাহত রেখেছেন। তাই ইউক্রেন যাতে প্রয়োজনীয় অস্ত্রের যোগান পায় তা নিশ্চিত করতে ন্যাটো অস্ত্র সংগ্রহ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে একটি বৈঠকের পরিকল্পনা করছে।'

মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলব

এসব ঘটনার মধ্যেই মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে 'যুক্তরাষ্ট্রের অযাচিত হস্তক্ষেপের' জন্য মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন ট্রেসিকে তলব করা হয়েছে।

বিবৃতিতে কিয়েভকে অস্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে একটি 'আক্রমণাত্মক পথ' বেছে নিতে সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

এ ছাড়াও, লিন ট্রেসির কাছে পাঠানো 'নোট অব প্রোটেস্ট'-এ ইউক্রেন থেকে ন্যাটোর সরঞ্জাম প্রত্যাহার করে যুদ্ধ উত্তেজনা বন্ধের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

 

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

8h ago