ড্রেসিংরুমে ধূমপান: খালেদ মাহমুদকে শাস্তি দিল বিসিবি

Khaled mahmud sujon
ছবি: স্টার

এবার বিপিএলে খালেদ মাহমুদ সুজনের সময়টা একদম ভালো যায়নি। তার কোচিংয়ে খেলে স্রেফ তিন ম্যাচ জিততে পারে খুলনা টাইগার্স। এরমধ্যে একদম শেষ ম্যাচে টানটান উত্তেজনার মুহূর্তে ড্রেসিংরুমে ধূমপান করে সমালোচনায় পড়েন তিনি। শৃঙ্খলাভঙ্গের কারণে এজন্য শাস্তিও পেতে হলো তাকে ।

সোমবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে বিসিবি জানায়, আলাদা আলাদা ঘটনায় খালেদ মাহমুদ সুজন, শেখ মেহেদী হাসান, নিকোলাস পুরান ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। তাদের তিনজনকেই লেভেল-১ ভঙ্গ করায় গুনতে হবে ম্যাচ ফির ৩০ শতাংশ। এই ঘটনায় দুটি ডিমেরিট পয়েন্টও যুক্ত হয়েছে তাদের খাতায়।

গত শুক্রবার ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে জেতার পথে ছিল খুলনা। রান তাড়ায় শেষ ওভারে ৯ রান দরকার ছিল  খুলনার। প্রথম বলে এক রান আসার পর দ্বিতীয় বলে ক্যাচ ফসকে হয়ে যায় চার। চার বলে যখন দরকার চার তখন ড্রেসিংরুমে ধূমপান করতে থাকা চিন্তিত খালেদ মাহমুদের ফুটেজ ভেসে উঠে টিভি পর্দায়। পরের বলে ছক্কা মেরে খুলনাকে জিতিয়ে ম্যাচ শেষ করেন হাবিবুর রহমান সোহান। ম্যাচের ফল ছাপিয়ে বিসিবির প্রভাবশালী পরিচালকের টিভি ক্যামেরায় ধূমপান চলে আসে আলোচনায়।

বিসিবি জানায় মাঠের আম্পায়ার আলি আরমান রাজন, রবীন্দ্র ওইমালাসরি, টিভি আম্পায়ার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, চতুর্থ আম্পায়ার মাহফুজুর রহমান লিটু সুজনের বিপক্ষে অভিযোগ আনেন। খুলনার প্রধান কোচ ম্যাচ রেফারি দেবব্রত পালের কাছে তার দায় স্বীকার করে নিলে আর আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন হয়নি।

খুলনার প্রধান কোচ হলেও সাবেক এই অধিনায়কের বড় পরিচয় তিনি বিসিবির পরিচালক, গেম ডেভোলাপমেন্ট কমিটির তিনি প্রধান। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলে 'টিম ডিরেক্টর' পদটাও তার। বিসিবির ইতিহাসে কোন পরিচালকের শৃংখলাভঙ্গের কারণে সাজা পাওয়ার নজির আর নেই। 

রোববার প্লে অফে বরিশালে বিপক্ষে দলকে জিতিয়ে উল্লাস করার সময় ব্যাট থেকে হেলমেট আঘাত করে বুনো আচরণ করেন শেখ মেহেদী। তাতে সাজা হয়েছে তার। ওই ম্যাচেই আউট হয়ে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে তর্কে জড়িয়ে শাস্তি পান ক্যারিবিয়ান পুরান। দিনের পরের ম্যাচে শৃঙ্খলাভঙ্গের সাজা পান মোসাদ্দেক।

Comments

The Daily Star  | English

Lives on hold: Workers await reopening of closed jute mills

Five years on: Jute mill revival uneven, workers face deepening poverty

16h ago