বেশি দামে আদানির বিদ্যুৎ কেন আনব: মুজিবুল হক

জাতীয় সংসদ ভবন। ফাইল ছবি

ভারতের আদানি গ্রুপ থেকে সরকারের বেশি দামে বিদ্যুৎ কেনা নিয়ে জাতীয় সংসদে প্রশ্ন তুলেছেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু।

তিনি বলেছেন, 'আদানি গ্রুপ থেকে উচ্চমূল্য দিয়ে আমরা কেন বিদ্যুৎ আনবো? আনলে এটা জনগণের স্বার্থে কি না, এ বিষয়ে সরকার পুনঃপরীক্ষা করে দেখবেন।'

আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। 

তিনি বলেন, 'আমি সবচেয়ে বেশি আশ্চর্য হলাম যে আদানি গ্রুপ নিয়ে ভারতে এত সমালোচনা, সেই আদানি গ্রুপ ১৫শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করছেন। তাদের থেকে আনা প্রতি ইউনিটের মূল্য ২৪ টাকা ১০ পয়সা। বছরে ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হবে ৬ হাজার কোটি টাকা। আদানি গ্রুপ থেকে এত উচ্চমূল্য দিয়ে আমরা কেন বিদ্যুৎ আনবো? আনলে এটা জনগণের স্বার্থে কি না, এ বিষয়ে সরকার আবারও পুর্নঃপরীক্ষা করে দেখবেন।'

মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিনডেনবার্গ রিসার্চের এক প্রতিবেদনে ভারতের শীর্ষস্থানীয় ধনী ব্যবসায়ী গৌতম আদানির বাণিজ্যিক সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ আনলে তাদের শেয়ারে পতন শুরু হয়। এ নিয়ে ভারতের লোকসভায় রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে সমালোচনা করেছে দেশটির বিরোধী দলগুলো।

বিদ্যুতের সরবরাহ ঠিক রাখতে আদানি গ্রুপের কোম্পানি 'আদানি পাওয়ারে'র কাছ থেকে বিদ্যুৎ কিনতে ২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর চুক্তি করে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ বিভাগ। চুক্তির আওতায় আদানি ঝাড়খণ্ডে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করে বাংলাদেশে সরবরাহ করবে। আগামী মার্চ থেকে এ বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আসার কথা জানিয়েছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

মুজিবুল হক বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী বলেছেন বিদ্যুতে ভর্তি। এটা ঠিক। আমরা গ্রামে গ্রামে বিদ্যুতের লাইন পেয়েছি। কোনো সন্দেহ নাই। সমস্যা হলো বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির জন্য রেগুলেটরি কমিশন ছিল, এখন বিদ্যুত প্রতিমন্ত্রী সেটা তার হাতে নিয়ে নিয়েছেন। তিনি বলেছেন বিদ্যুতের দাম প্রতিমাসে সমন্বয় করবেন।'

'বাংলায় সমন্বয় মানে হলো একটার সঙ্গে আরেকটার সমন্বয় করা। আসলে এটা হবে প্রতিমাসে মূল্য বৃদ্ধি। জানুয়ারি মাসে দুবার মূল্যবৃদ্ধি করেছেন। এটা যদি সহনশীলতার মধ্যে না থাকে, মানুষ সেটা ব্যবহার করতে পারবে কি না, সেটা নিয়ে সন্দেহ থাকবে,' বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Nowfel gained from illegal tobacco trade

Former education minister Mohibul Hassan Chowdhury Nowfel received at least Tk 3 crore from a tobacco company, known for years for illegal cigarette production and marketing including some counterfeit foreign brands. 

46m ago