অর্থনীতির ৩ ঝুঁকিতে বাংলাদেশ

আগামী বছরগুলোতে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ঋণ সংকট ও দ্রব্যমূল্যের ধাক্কা- এ ৩টি বিষয়কে বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রধান ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করেছে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ)।

সংস্থাটির 'এক্সিকিউটিভ অপিনিয়ন সার্ভে' শীর্ষক এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্য চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে আছে 'অ্যাসেট বাবল বার্স্ট' (সম্পদের বুদবুদ ফেটে যাওয়া) এবং অবৈধ অর্থনৈতিক কার্যকলাপের বিস্তার।

২০২২ সালের এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত ১২১টি দেশের অর্থনীতির ১১ হাজার ৮০০ জন অংশগ্রহণকারীর ওপর ডব্লিউইএফ পরিচালিত একটি বৈশ্বিক জরিপের অংশ হিসেবে এই সমীক্ষা চালানো হয়। বাংলাদেশে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) জরিপটি পরিচালনা করে। এতে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ছিল ৭৪ জন।

জরিপে ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরভিত্তিক কৃষি, উৎপাদন ও সেবা খাতের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিত্ব করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী বছরগুলোতে বাংলাদেশের জন্য শীর্ষ ৩টি সামাজিক ঝুঁকি হলো- জীবনযাত্রার ব্যয় সংকট, কর্মসংস্থান ও জীবিকা সংকট এবং সংক্রামক রোগ।

জরিপে দেখা গেছে, ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে আর্থিক খাতের বেশিরভাগ সূচকে কমতি ছিল।

এমন পরিস্থিতিতে আর্থিক খাতে বড় ধরনের সংস্কার প্রয়োজন মন্তব্য করে গতকাল রোববার জরিপের ফলাফল উপস্থাপনের সময় সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, 'সামগ্রিকভাবে আর্থিক খাতের পারফরম্যান্সের স্তর নেতিবাচক রয়ে গেছে, যা আগের বছরগুলোর তুলনায় আরও কঠিন পরিস্থিতির ইঙ্গিত দেয়।'

এ অবস্থায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের ঋণের শর্ত পূরণ, ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন, ঋণের সুদের হারের সীমা তুলে নেওয়া এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এবং বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের কার্যকর তদারকির ভূমিকা নিশ্চিত করার অংশ হিসাবে এই সংস্কার শুরু করা যেতে পারে বলেও উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মূলত দুর্নীতির কারণে ২০২২ সালে এর আগের বছরের তুলনায় দেশের ব্যবসায়িক পরিবেশের অবনতি হয়েছে।

জরিপে অংশ নেওয়া ৬৪ দশমিক ৬ শতাংশ উত্তরদাতা ব্যবসাক্ষেত্রে উচ্চ মাত্রার দুর্নীতির এ অভিযোগ করেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দুর্বল প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশে ব্যবসা করার জন্য সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং বিষয়। এগুলোর উন্নতি মন্থর এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ২০২২ সালে তাদের কর্মক্ষমতা কমেছে। কর, লাইসেন্স, গ্যাস-পানি-বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন পরিষেবা, বিচার ব্যবস্থা এবং আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে জড়িত জড়িত সরকারি সংস্থাগুলোর পারফরম্যান্স গত বছর খারাপ ছিল।

পুরো প্রতিবেদন পড়তে ক্লিক করুন- Three risks ahead

 

 

Comments

The Daily Star  | English

US cuts tariffs on Bangladesh to 20% after talks

The deal for Dhaka was secured just hours before a midnight deadline set by President Donald Trump

2h ago