জীবনের ‘সেরা শিরোপা’ জেতার পরও মন ভালো নেই নোভাক জোকোভিচের

নোভাক জোকোভিচ
নোভাক জোকোভিচ। ছবি: রয়টার্স

নোভাক জোকোভিচ তার দশমতম অস্ট্রেলিয়ান ওপেন শিরোপা জিতেছেন। একে তিনি তার জীবনের 'সবচেয়ে বড় জয়' বলে অভিহিত করেছেন।

৩৫ বছর বয়সী সার্বীয় তারকা ম্যাচের পর আবেগ আপ্লুত হওয়ায় অনিয়ন্ত্রিতভাবে কাঁদলেন।

রুশপন্থি ভক্তদের সঙ্গে তার বাবার পোজ দেওয়ার ভিডিও প্রকাশের পর বাবা শ্রীজান ঘরে বসে ফাইনাল দেখেছেন।

নোভাক জোকোভিচ বলেছিলেন যে এটি তার বাবার জন্য সহজ ছিল না।

নোভাক জোকোভিচ স্বীকার করেছেন যে, তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে সন্তোষজনক গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপা জয়টিও দুঃখের সঙ্গে আবদ্ধ ছিল। কারণ তার বাবা রড ল্যাভার অ্যারেনায় উপস্থিত ছিলেন না।

দশমতম অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শিরোপা জেতার পর জোকোভিচ গণমাধ্যমকে বলেছেন, 'ভেবেছিলাম মিডিয়া এবং সবকিছুর পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়গুলো শান্ত হবে, কিন্তু তা হয়নি। আমরা ২ জনেই সম্মত হয়েছিলাম যে তিনি গ্রাউন্ডে না থাকাটা সম্ভবত ভালো হবে।'

'এটি আমাকে ও তাকে অনেক কষ্ট দিয়েছে। কারণ এটি খুব বিশেষ, খুব অনন্য মুহূর্ত। এর পুনরাবৃত্তি হয় কিনা কে জানে। তাই এটা তার জন্য সহজ ছিল না। আমি দেখতে পাচ্ছিলাম, তিনি কিছুটা দুঃখিত,' যোগ করেছেন জোকোভিচ।

ঘটনাগুলো দুর্ভাগ্যজনক মোড় নিয়ে হতাশা তৈরি করলেও জোকোভিচ অনুভব করেছিলেন যে তাদের সিদ্ধান্তটি জয়ের জন্য সঠিক ছিল।

'শেষ পর্যন্ত আমাদের একটি সুখী সমাপ্তি হয়েছে,' মন্তব্য জোকোভিচের।

গত বছর কোভিড-১৯ টিকা না নেওয়ার কারণে ওপেনের প্রাক্কালে অস্ট্রেলিয়া থেকে নির্বাসিত হয়েছিলেন নোভাক জোকোভিচ। বিজয়ের পর জোকোভিচ প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, '২০২৩ সালের বিজয় আমার জীবনের সবচেয়ে বড় বিজয়।'

তিনি বলেন, 'আমাকে বলতে হবে যে এটি আমার জীবনের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং টুর্নামেন্টগুলোর মধ্যে একটি ছিল। পরিস্থিতি বিবেচনা করে গত বছর খেলা হয়নি, এই বছর ফিরে আসছি।'

আরও বলেন, 'শুধুমাত্র দল ও পরিবারই জানে যে আমরা গত ৪ বা ৫ সপ্তাহে কী করেছি। কী পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গিয়েছি। আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই যারা আমাকে ফিরে আসতে সাহায্য করেছেন এবং আমাকে স্বাগত জানিয়েছেন।'

আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী লেখক, সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English

Private investment sinks to five-year low

Private investment as a percentage of the gross domestic product has slumped to its lowest level in five years, stoking fears over waning business confidence and a slowdown in job creation.

10h ago