রিজার্ভ সংকটের মূল কারণ অর্থপাচার ও বেগমপাড়া

দুর্নীতি, লুটপাট, অর্থপাচার বিরোধী আলাপ-সংগ্রাম দীর্ঘদিন ধরে হলেও দেশে অবস্থার এতটুকু উন্নতি হয়নি। বরং পাচার, লুটপাট নিয়ে ইসলামী ব্যাংকেরসহ বড় বড় পিলে চমকানো সংবাদ আসছে।

চলমান অর্থনৈতিক সংকটের জন্য রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও করোনা ২টি বড় কারণ। তবে সব দায় তাদের কাঁধে চাপানোও যথার্থ নয়। যেমন: শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সংকট রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পূর্বেই শুরু হয়েছিল। তা গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয় মার্চের শেষে, এপ্রিলের প্রথমে। আর রাশিয়া ইউক্রেনে অভিযান শুরু করে ২৪ ফেব্রুয়ারির শেষে।

বাংলাদেশেও করোনাকালে কোটিপতির সংখ্যা বেড়েছে। অর্থনৈতিক সংকটকালেও সেটা বন্ধ ছিল না। করোনা ও যুদ্ধ অবশ্যই এই সংকটের কারণ। তবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে দুর্নীতি, লুটপাট, অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা, অভ্যন্তরীণ ও প্রশাসনিক দুর্বলতার কারণে অর্থপাচার বাড়ছে। আর এই অবস্থাই রিজার্ভ সংকটের প্রধান কারণ। এ কথা কোন যুক্তিতে অস্বীকার করা যাবে?

রিজার্ভের উৎস

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের উৎস প্রধানত ২টি। প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ ও গার্মেন্টস রপ্তানি থেকে আয়। সেই আয়ে কি গত ২ থেকে ৩ বছরে অনেক পরিবর্তন হয়েছে, ধ্বস নেমেছে? পরিসংখ্যান সেই কথা বলে না। বরং করোনাকালেও প্রবাসীরা দেশে অর্থ পাঠিয়েছেন। অনেক ক্ষেত্রে অতীতের চেয়ে অধিক অর্থ পাঠিয়েছেন। করোনাকালে রপ্তানিমুখী খাত কিছু সমস্যার মধ্যে দিয়ে গেলেও তারা বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে ধারাবাহিকতা রেখেছেন।

দৈনিক যুগান্তরের এক প্রতিবেদন বলছে, 'দেশে বৈদেশিক মুদ্রা আয় বাড়লেও আমদানি ব্যয় না কমায় বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয়ের পরিমাণ বাড়ছে। যে কারণে রিজার্ভ বৃদ্ধির বদলে তা কমে যাচ্ছে।' গত বছর রেমিট্যান্স থেকে আয় হয়েছে ২ হাজার ১০৩ কোটি ডলার। রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৫ হাজার ২০৮ কোটি ডলার। এই ২ খাত মিলে আয় হয়েছে ৭ হাজার ৩১১ কোটি ডলার। কিন্তু আমদানি বাবদ ব্যয় হয়েছে ৮ হাজার ২৫০ কোটি ডলার। তারমানে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের চেয়ে বেশি ব্যয় হয়েছে ৯৩৩ কোটি ডলার।

আগে রপ্তানি আয় থেকে ৬০ ভাগ আমদানি ব্যয় মেটানো যেত, বাকি ৪০ ভাগ মেটানো হতো রেমিট্যান্স দিয়ে। এই ব্যয় মিটিয়েও কিছু ডলার থেকে যেত, সেগুলো রিজার্ভে জমা হতো। বলা হচ্ছে, বিশ্ববাজারে পণ্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে রেমিট্যান্সের ওপর বাড়তি চাপ পড়ায় এই সংকট তীব্র হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে দেশের আমদানি ও অভ্যন্তরীণ খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রয়োজনীয় রিজার্ভ না থাকায় সরকার আইএফএফ ও বিশ্বব্যাংকের কাছে ঋণের আবেদন করেছে।

সংকটের প্রধান কারণ বেগমপাড়া ও অর্থপাচার

ডলার সংকটের কারণ প্রসঙ্গে অর্থপাচার প্রতিরোধ সমন্বয়কের দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান কর্মকর্তা মাসুদ বিশ্বাস বলেন, '২০ থেকে ২০০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্য বাড়িয়ে দেখিয়ে কোনো কোনো পণ্য আমদানি করা হয়েছে।' তারমানে, এই বাড়তি মূল্যের অর্থ দেশে আনা হয়নি, তা বিদেশে পাচার করা হয়েছে। এই অর্থপাচারের কারণে ডলারের একটি বড় অংশ দেশে আসছে না। অর্থাৎ বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা রপ্তানি আয়ের একটি বড় অংশ বিদেশে পাচার করছে। তার সঙ্গে আছে সরকারি আমলা ও রাজনীতিবিদদের দুর্নীতির পাচারকৃত অর্থ। যেসব অর্থ দিয়ে দেশে দেশে গড়ে উঠেছে বেগমপাড়া।

সেই তথ্যই দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ করে আসছে মার্কিন প্রতিষ্ঠান জিএফআই। প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে (২০০৯-২০১৮) ওভার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে ৮ দশমিক ২৭ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়ে যাচ্ছে। আর সরকার বৈদেশিক মুদ্রা সংকট মোকাবিলায় আইএমএফের কাছ থেকে সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ করছে। আর প্রতিবছর দেশ থেকে পাচার হয়ে যাচ্ছে তার প্রায় দ্বিগুণ অর্থ।

গত ১ দশকে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অর্থ জমা পড়েছে ৫ হাজার ২৯১ কোটি টাকা। ১৯৯০ সালে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৬৪৬ কোটি টাকা। বর্তমানে এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৩৯৬ কোটি টাকায়। অর্থাৎ ৩২ বছরে খেলাপি বেড়েছে ২৯ গুণ।

যদিও কয়ের বছর আগে আইএমএফের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, 'বাংলাদেশে খেলাপি আড়াল করা হয়েছে। কেননা প্রকৃত খেলাপি ঋণের পরিমাণ আরও বেশি। তাদের বক্তব্য, সব মিলিয়ে খেলাপি ঋণ হবে প্রায় আড়াই লাখ কোটি টাকা।'

তবে দেশের অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, ঠিকমতো হিসাবে করলে প্রকৃত খেলাপি ঋণের পরিমাণ হবে ৪ লাখ কোটি টাকারও বেশি। এর সঙ্গে হলমার্ক, বেসিক ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক (সাবেক ফারমার্স ব্যাংক), ক্রিসেন্ট গ্রুপ ও বিসমিল্লাহ গ্রুপের মতো বড় বড় দুর্নীতি-লুটপাটের পুরনো আলাপ তো আছেই।

বাংলাদেশের কী পরিমাণ অপ্রদর্শিত অর্থ আছে, তার কোনো প্রকৃত হিসাব নেই। টিআইবির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের কালোটাকার পরিমাণ জিডিপির ১০ থেকে ৩৮ শতাংশের মধ্যে ওঠানামা করে। কী বিপুল দুর্নীতির চক্রে ঘুরপাক খাচ্ছে আমাদের অর্থনীতি। সুতরাং বর্তমান সংকটের জন্য সরকার আয়-ব্যয়ের এই অসঙ্গতির কথা বলে নিজেদের দায় এড়ানো যাবে না। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সংকটের একটি প্রধান কারণ বাংলাদেশ থেকে অর্থপাচার। কারণ লুটপাট-দুর্নীতির অধিকাংশ অর্থই বিদেশে পাচার হয়ে দেশে দেশে গড়ে উঠছে বেগমপাড়া।

দুর্নীতি-অনিয়মের দায় কেন জনগণ নেবে

আইএমএফ ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে সরকারকে যে শর্ত দিয়েছে (তার মানে এই নয় যে তাদের সব শর্তই খারাপ), তা পালন করতে গেলে গরিব ও সাধারণ মানুষের জীবনযাপনের ব্যয় অনেক বেড়ে যাবে এবং তাদের জীবন কঠিন হয়ে পড়বে। সেই কারণে এই ঋণ নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই। যাদের কারণে এই সংকট সৃষ্টি হলো, ঋণের প্রয়োজন হলো, তাদের জন্য সাধারণ মানুষ কেন মূল্য দেবে? তারা দেশের সম্পদ লুট করেনি, বিদেশে অর্থপাচার করেনি। বরং দুর্নীতিবাজ, লুটেরা ও পাচারকারীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করে এই সংকট মোকাবিলা করতে হবে। আইএমএফ-বিশ্বব্যাংকের ঋণের দায় কেন জনগণ নেবে?

দুর্নীতি-পাচার অস্বীকার করা মানে তাকে প্রশ্রয় দেওয়া

গতবছরের নভেম্বরে সংসদের দাঁড়িয়ে অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, দেশ থেকে কারা অর্থ পাচার করে, তা তিনি জানেন না। কারা টাকা পাচার করছে, এমন তথ্য তার জানা নেই। তার সেই বক্তব্যের ৬ মাস পরেই জাতীয় সংসদে বাজেটে পাচারকৃত অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে নতুন নিয়মের কথা ঘোষণা করলেন। সেই সময়ে সাংবাদিকরা বাংলাদেশ থেকে অর্থপাচারে 'জিএফআই' প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, প্রতিবছর দেশ থেকে ৬৪ হাজার কোটি টাকা কেন, ৬৪ টাকা পাচারের হিসাব আছে কি না, আমাকে দেন।' তার এমন বক্তব্য দুর্নীতি-পাচারকে প্রশ্রয় দেওয়ার সামিল।

দুর্নীতি-পাচারকে বৈধতার প্রবণতা

গত বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, 'বিদেশে স্থাবর সম্পত্তি থাকলে দেশের আয়কর রিটার্নে দেখাতে চাইলে ১৫ শতাংশ আয়কর দিতে হবে। এ ছাড়া অস্থাবর সম্পত্তির ওপর ১০ শতাংশ এবং পাচার হওয়া টাকা দেশে আনলে সেই টাকার ওপর ৭ শতাংশ কর দিয়ে আয়কর রিটার্নে দেখাতে পারবেন যে কেউ। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেবে না সরকার। তাকে কোনো প্রশ্ন করা হবে না।' সংসদের এ বিল পাশ না হলেও এমন ভাবনা কাদের স্বার্থে?

১০ শতাংশ কর দেওয়ার মাধ্যমে সরকার কালোটাকাকে সাদা করার জন্য ১৮ বার সুযোগ দিয়েছিল। কিন্তু খুব বেশি ফল পাওয়া যায়নি। পাচারের অর্থ ফেরতের ক্ষেত্রেও ফল পাওয়া যাবে, তার নিশ্চয়তা নেই। আর পাচারকারীদের এমন সুযোগ দেওয়া হবে দেশের সৎ উদ্যোক্তা ও করদাতাদের জন্য বড় আঘাত। একে সুযোগ না বলে বরং অপরাধের দায়মুক্তিই বলা যায়।

বৈধ অর্থের জন্য মানুষ কর দেয়। তারচেয়ে কম কর দিয়ে অবৈধ, অপ্রদর্শিত ও পাচারকৃত অর্থ বৈধ করার সুযোগ থাকলে কেন সে অসাধু পথ অবলম্বন করবে না, বলতে পারেন? এতে কম কর দিয়ে অধিক লাভবান হওয়া যাবে। তারমানে সরকার নাগরিকদের চোরাই পথ অবলম্বনে উৎসাহিত করছে। এতে যারা সৎ উপায়ে, পরিশ্রম করে, সরকারকে কর দিয়ে, আয়-উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে, তারা নিজেদের বঞ্চিত-প্রতারিত মনে করবেন।

অর্থমন্ত্রী আরেক বক্তব্যে বলেছিলেন, 'পাচার হওয়া টাকা মানুষের হক।' সেটাই যদি হয়, সেই হক যারা মেরে খেয়েছে, যারা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। সেটা না করে তাদেরকে অনৈতিক সুযোগ দেওয়ার কথা কেন ভাবছেন?

সাবেক অর্থমন্ত্রী এম এ মুহিত বলেছিলেন, বাংলাদেশে দুর্নীতির কারণে প্রতিবছর মোট জিডিপির ২ থেকে ৩ শতাংশ ক্ষতি হচ্ছে এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে জিডিপির আরও ১ শতাংশ ক্ষতি হচ্ছে। দুর্নীতির কারণে জিডিপির ৩ থেকে ৪ শতাংশ ক্ষতি ধরলে দুর্নীতির কারণে বছরে ক্ষতির আর্থিক পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকা। ভাবতে পারেন? অথচ এই বাংলাদেশে প্রায় ৬ কোটি বেকার। কোটি মানুষ অভুক্ত, গৃহ, শিক্ষা ও চিকিৎসাহীন। কিছুসংখ্যক দুর্বৃত্তের কারণে কোটি মানুষের এই দুর্দশা।

বেগমপাড়া-বিরোধী সামাজিক আন্দোলন

২০২০ সালের জানুয়ারির শুরুতে বাংলাদেশে মূলধারার পত্র-পত্রিকায় দেশের দুর্নীতিবাজ, ঋণখেলাপি ও অর্থপাচারকারীদের বিরুদ্ধে একের পর এক সংবাদ-প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছিল। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছিল, দেশ থেকে অর্থপাচারকারীরা আমানতকারীদের টাকা মেরে ব্যাংকগুলোকে পথে বসিয়ে কানাডায় পাড়ি জমিয়েছেন, সেখানে আত্মগোপন করেছেন। দুর্নীতিবাজ, ক্ষমতাবান ও বিত্তশালীরা কানাডার বেগমপাড়ায় দামি বাড়ি-গাড়ি কিনে সেখানে আরাম-আয়েশে নিরাপদ জীবন যাপন করছেন। চোরাই অর্থ বিনিয়োগ করে ব্যবসা-বাণিজ্য করে বহাল তবিয়তে আছেন।

প্রতিবেদনগুলো দেখে মনে হচ্ছিল, কানাডাই যেন একমাত্র দেশ যেখানে লুটেরারা নিরাপদে আশ্রয় গ্রহণ করে, আর কোথাও এমনটা ঘটছে না। এমন সংবাদে প্রবাসীরা প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ ও হতাশা প্রকাশ করেন। তাদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। সেখান থেকেই এই অন্যায়ের প্রতিবাদের পরিকল্পনা আসে। 'লুটেরা রুখো স্বদেশ বাঁচাও' নামে বেগমপাড়া তথা লুটেরা-বিরোধী আন্দোলনের সূচনা হয়।

সম্প্রতি চমকপ্রদ নানা সংবাদ-প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বেগমপাড়া শুধু কানাডায় নয় ব্রিটেন, আমেরিকা, দুবাই, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গড়ে উঠেছে। সঙ্গতই অর্থপাচার ও বেগমপাড়া-বিরোধী সামাজিক আন্দোলন শুধু কানাডায় নয়, ওই সব দেশেও গড়ে তুলতে হবে।

দুর্নীতি-পাচার বন্ধে প্রয়োজন সুশাসন

অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদকে প্রধান করে গঠিত ব্যাংক সংস্কার কমিটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছিল ১৯৯৯ সালে। এ প্রসঙ্গে মাহমুদ বলেন, 'রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো রাজনৈতিক সুযোগ-সুবিধা বণ্টনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হইয়াছে, যাহাও খেলাপি ঋণের অন্যতম কারণ। স্বার্থান্বেষী ও প্রভাবশালী গোষ্ঠীগুলোর বিরোধিতা ব্যাংকিং খাত সংস্কারের সম্ভবত সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা। এ কারণে সংস্কার কর্মসূচি সফল করতে হলে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন দৃঢ় রাজনৈতিক অঙ্গীকার। মূলত এই অঙ্গীকারই কখনো দেখা যায়নি বলেই খেলাপি ঋণ ক্রমান্বয়ে বেড়েছে।'

দেশে যাদের সুশাসন প্রতিষ্ঠার কথা, এসব অনাচার-অনিয়ম-দুর্নীতি-পাচার বন্ধ করার কথা, তারা তা করতে ব্যর্থ হচ্ছেন। অনেক ক্ষেত্রে তাদের সহযোগিতাতেই এ কাজগুলো হচ্ছে। যারা অর্থপাচার বন্ধ ও উদ্ধারের জন্য কাজ করবেন, তারা নিজেরাই যদি এর সহযোগী হন, তাহলে কীভাবে সেই কাজ হবে? সরকার যদি জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে থাকে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে সহসাই এ সংকট সহসাই কাটবে না। তবু আমাদের বিবেকের দায় থেকে, দেশের প্রতি ভালোবাসা থেকে এসব অন্যায়, দুর্নীতি, লুটপাট, পাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে।  

ড. মঞ্জুরে খোদা: লেখক-গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক

(দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের, দ্য ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের নয়। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার দ্য ডেইলি স্টার নেবে না।)

Comments

The Daily Star  | English

‘Shockingly insufficient’

"The proposed decision to allocate USD 250 billion per year for all developing countries is shockingly insufficient," said the adviser

8h ago