নিউইয়র্ক ট্রেড শোতে যাচ্ছে বাংলাদেশের ১৪ প্রতিষ্ঠান

বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে নিউইয়র্কের ট্রেড শোতে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানের অংশ নেওয়ার কথা জানানো হয়। ছবি: সংগৃহীত

আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অনুষ্ঠেয় ট্রেড শোতে বাংলাদেশের ১৪টি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান (এসএমই) অংশ নিতে যাচ্ছে।

প্রতিষ্ঠানগুলো হলো-এসিক্স ইন্টারন্যাশনাল, আদর্শলিপি, ডিজাইন বাই রুবিনা, গোল্ডেন জুট প্রোডাক্ট, জারম্যাটস লিমিটেড, জুট ল্যান্ড বাংলাদেশ, জুট মার্ট অ্যান্ড ক্র্যাফট, জুটমার্ট ইন্টারন্যাশনাল, কারুযোগ, প্রকৃতি, সামিস ওয়ার্ল্ড, সুতার কাব্য লিমিটেড, দ্য জুট ফাইবার বিডি এবং তুলিকা ইকো। 

'এনওয়াই নাউ উইন্টার ট্রেড শো ২০২৩' শীর্ষক ৪ দিনব্যাপী এই ট্রেড শোতে উত্তর আমেরিকার ক্রেতাদের কাছে পাটজাত পণ্য এবং প্রাকৃতিক ফাইবারের বৈচিত্র্যময় পণ্য প্রদর্শন করবে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলো।

আজ বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ও ইউএসএআইডির ফিড দ্য ফিউচার বাংলাদেশ হর্টিকালচার অ্যাকটিভিটির উপদেষ্টা আনোয়ার ফারুক এসব তথ্য জানান।

ট্রেড শোতে এসএমই প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রদর্শিত পাট এবং প্রাকৃতিক ফাইবার পণ্যের মধ্যে থাকবে পাটের তৈরি হ্যান্ডব্যাগ, ম্যাট এবং অন্যান্য ফ্যাশন পণ্য। সেইসঙ্গে আরও থাকবে বাড়ির সাজসজ্জা এবং উপহার সামগ্রী। 

এই আয়োজনে সহযোগিতা করছে-ইউএসএআইডি অর্থায়নে ফিড দ্য ফিউচার বাংলাদেশ হর্টিকালচার অ্যাকটিভিটি, কানাডার ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন অফিস (টিএফও) এবং এসএমই ফাউন্ডেশন। 

পাটজাত পণ্য নিয়ে ট্রেড শোর আয়োজকরা বলেন, এটি পরিবেশবান্ধব এবং আন্তর্জাতিক বাজারে এর চাহিদা বাড়ছে। বাংলাদেশে প্রচুর পাট উৎপাদন হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশি পাটজাত পণ্য প্রস্ততকারকদের মধ্যে বৈশ্বিক বাজারের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞানের অভাব আছে। তাই অনেক এসএমই প্রতিষ্ঠান পাটভিত্তিক পণ্য উৎপাদন করলেও, বিশ্ববাজারে তাদের প্রবেশাধিকার সীমিত। 

এই শো'য়ের মাধ্যমে বাজার-উপযোগী পণ্য দেখার, শেখার এবং ডিজাইন করা ছাড়াও আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশি পণ্য প্রদর্শনের সুযোগ থাকবে।

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

4h ago