খাদ্য ও কৃষি উপকরণ নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখার আহ্বান কৃষিমন্ত্রীর

জার্মানিতে ১৫তম বার্লিন কৃষিমন্ত্রীদের সম্মেলনে বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। ছবি: সংগৃহীত

খাদ্য ও কৃষি উপকরণ যুদ্ধ-নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে রাখতে উন্নত দেশগুলোর নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।

গতকাল শনিবার জার্মানির বার্লিনে '১৫তম বার্লিন কৃষিমন্ত্রীদের সম্মেলনে' মন্ত্রী এ আহ্বান জানান। তিনি বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উন্নত দেশগুলোকে দায়িত্বশীল ও আরও তৎপর হওয়ার আহ্বান জানান।

জার্মান ফেডারেল মিনিস্ট্রি অব ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচারের আয়োজনে চার দিনব্যাপী '১৫তম গ্লোবাল ফোরাম ফর ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচারের শেষ দিনে এ সম্মেলন হয়। সম্মেলনে বিশ্বের ৭০টিরও বেশি দেশের কৃষিমন্ত্রী ও ১০টি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেছেন।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের নির্দোষ ভুক্তভোগী বাংলাদেশ। এ যুদ্ধের ফলে সারের দাম চার গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, খাদ্যশস্যের দাম অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে ও খাদ্য নিরাপত্তায় প্রভাব ফেলেছে। এ নেতিবাচক প্রভাব নিরসনের জন্য আমি উন্নত বিশ্বকে নমনীয়, সহজ ও দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

খাদ্য নিরাপত্তায় বাংলাদেশ সরকারের প্রস্তুতি তুলে ধরে কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার একটি উন্নত, টেকসই ও জলবায়ুসহিষ্ণু কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে কাজ করছে, যার মাধ্যমে মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই হবে, পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার নিশ্চিত হবে, কৃষকেরা উন্নত জীবন পাবেন। কিন্তু জমি হ্রাস, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তন, কোভিড-১৯ ও চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ পরিস্থিতিতে, কপ২৬, কপ২৭ ও অন্যান্য বৈশ্বিক ফোরামে দেওয়া প্রতিশ্রুতি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য উন্নত দেশগুলোকে আমি অনুরোধ করছি।

সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার ও বার্লিনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার মো. সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

Power, Energy Sector: Arrears, subsidies weighing down govt

The interim government is struggling to pay the power bill arrears that were caused largely by “unfair” contracts signed between the previous administration and power producers, and rising international fuel prices.

7h ago