যে কারণে এবারও সিংহ প্রতীক চান হিরো আলম
বগুড়া-৪ এবং বগুড়া-৬ দুটি আসনে নির্বাচনী মার্কা সিংহ চান মো. আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।
আজ মঙ্গলবার হিরো আলমকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগ দিতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতের নির্দেশনার পরে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে তিনি কথা বলেন।
হিরো আলম বলেন, 'সবাই জানে হিরো আলম সিংহের মতো গর্জন দিতে পারে। এবারও গর্জন দেবো। আমি বগুড়া-৪ এবং বগুড়া-৬ দুটি আসনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছি। গতবার আমার মার্কা ছিল সিংহ, এবারও আমি সিংহ চাইবো। কোনো প্রার্থী যদি সিংহ প্রতীক না নিয়ে থাকে; যেহেতু গতকাল প্রতীক বরাদ্দ হয়েছে, কেউ সিংহ নিয়েছে কি না তাও জানি না, যদি না নিয়ে থাকে আমি দুটি আসন থেকে সিংহ মার্কায় ভোট করবো।'
'আগেও বলেছি, এখনো বলছি, আইনের প্রতি আমার শ্রদ্ধা ছিল—নির্বাচন কমিশন (প্রার্থিতা) বাতিল করলেও হাইকোর্ট থেকে আমি বিফলে যাব না। যেহেতু ২০১৮তে এ ঘটনা ঘটেছিল আমার সঙ্গে, ২০১৮তে হাইকোর্টে রিট করার পরে এখান থেকে পেয়েছিলাম, এবারও পেয়েছি,' বলেন তিনি।
হিরো আলম আরও বলেন, 'আশা রাখছি, আমরা ভোটের মাঠেও থাকবো। গতবার আপনারা দেখেছেন, নির্বাচনের মাঠে আমার সঙ্গে সে রকম মারামারি হয়েছিল। পরে আমি ভোট বর্জন করি। এবার সে ধরনের ঘটনা যেন না ঘটে সে জন্য আমি নির্বাচন কমিশনকে বলবো, প্রতিটি কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা চাই, কড়া নিরাপত্তা চাই আর প্রতিটি ভোটার যেন ভোট দিতে আসতে পারে।'
বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য পদত্যাগ করায় বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়।
উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র জমা দেন মো. আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। দুটি আসনের প্রতিটিতে ন্যূনতম ১ শতাংশ ভোটারের সইসহ সমর্থনসূচক তালিকায় গরমিল আছে উল্লেখ করে গত ৮ জানুয়ারি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বগুড়ার জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেন।
প্রার্থিতা ফিরে পেতে গত ১০ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল করেন আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। পুনর্বিবেচনা শেষে কমিশন তার আপিল আবেদন খারিজ করে দিলে হিরো আলম উচ্চ আদালতে আসেন।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন।
Comments