ইউক্রেনকে সাঁজোয়া যান দেবে ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্র
ইউক্রেনে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর পর প্রথমবারের মতো দেশটির পশ্চিমা মিত্ররা সেনাবাহিনীকে সাঁজোয়া যান সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে। ইউক্রেন রুশ বাহিনীর মোকাবিলা করার জন্য ভারি ট্যাংক চাইলেও সে বিষয়ে এখনো কিছু জানায়নি মিত্ররা।
আজ বৃহস্পতিবার কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
বুধবার ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে জানান, তার সরকার ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা উদ্যোগে সহায়তা করতে হালকা এএমএক্স-১০ আরসি সাঁজোয়া যান পাঠাবে। ২ নেতার মাঝে ফোন কলের পর এক ফরাসি কর্মকর্তা এ কথা জানান।
তবে কবে এবং কতগুলো সাঁজোয়া যান পাঠানো হবে, সে বিষয়ে কোন তথ্য দেননি সে কর্মকর্তা।
অল্প সময় পর, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানান, ওয়াশিংটন ইউক্রেনে ব্র্যাডলি ফাইটিং ভেহিকল (বিএফভি) পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনা করছে। কেনটাকি অঙ্গরাজ্যে সফরে যাওয়ার আগে সাংবাদিকরা বাইডেনকে জিজ্ঞাসা করেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইউক্রেনে সাঁজোয়া যান পাঠানোর কোনো পরিকল্পনা আছে কী না। উত্তরে তিনি 'হ্যাঁ' বললেও আর কোনো মন্তব্য করেননি।
ব্র্যাডলি একটি মধ্যম পর্যায়ের অস্ত্রসজ্জিত সাঁজোয়া যান যার মাধ্যমে সেনা পরিবহণ করা সম্ভব। এটি ট্যাংকের চেয়ে হালকা এবং দ্রুতগতিতে চলতে পারে। এতে চাকার পরিবর্তে ট্র্যাক ব্যবহার করা হয়েছে।
এই যানে ১০জন সেনা অবস্থান নিতে পারেন। সেনার পরিবর্তে যোগাযোগ স্থাপনের যন্ত্র অথবা বাড়তি গোলাবারুদও বহন করতে পারে ব্র্যাডলি।
যুক্তরাষ্ট্রের সংগ্রহে হাজারো ব্র্যাডলি রয়েছে। ইউক্রেন এই যান পেলে যুদ্ধক্ষেত্রে আরও ভালো করতে পারবে বলে বিশ্লেষকরা মন্তব্য করেন।
ইউক্রেন পশ্চিমা মিত্রদের কাছে বারবার মার্কিন আব্রামস ট্যাংক ও জার্মান লেপার্ড ট্যাংক চাইলেও এখনো এ বিষয়ে কোনো সাড়া পায়নি।
জেলেনস্কি তার সান্ধ্যকালীন ভিডিও বক্তব্য ও টুইটে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান।
ফরাসি এএমএক্স-১০ আরসি সাঁজোয়া যান বেশ হালকা এবং এতে রয়েছে ৬টি চাকা। এই যান সাম্প্রতিককালে পশ্চিম আফ্রিকার সাহেল অঞ্চল ও আফগানিস্তানে ফরাসি সামরিক অভিযানে ব্যবহৃত হয়েছে।
ইতোমধ্যে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বুধবার আটলান্টিক মহাসাগরে সর্বাধুনিক হাইপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র সহ একটি রণতরী মোতায়েন করেছেন। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো শব্দের গতির চেয়েও ৫ গুণ বেগে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই উদ্যোগে এটাই প্রমাণ হয়েছে যে প্রায় ১ বছর ধরে চলতে থাকা বিশেষ সামরিক অভিযান থেকে রাশিয়ার সরে আসার কোনো ইচ্ছেই নেই।
Comments