হিন্দুদের ‘দেশছাড়া করার’ হুমকি দেওয়া আ. লীগ নেতার শাস্তি দাবি

ছবি: সংগৃহীত

'নৌকায় ভোট না দিলে' হিন্দুদের 'দেশছাড়া করার' হুমকি দেওয়ার অভিযোগ এনে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার এক আওয়ামী লীগ নেতার শাস্তির দাবিতে মানবন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় 'সিন্দুর্ণা ইউনিয়নবাসী'র ব্যানারে হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কের পাশে এই মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।

মানববন্ধন কর্মসূচির অন্যতম আয়োজক ব্রজেন্দ্রনাথ বর্মণ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ডিসেম্বর মাসে সিন্দুর্ণা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনকে নৌকায় ভোট না দিলে হিন্দুদের দেশছাড়া করার পাশাপাশি গরুর মাংস খাওয়ানোর হুমকি দেন।'

ব্রজেন্দ্রনাথ বর্মণ জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে আওয়ামী লীগ নেতা শ্যামলকে এও বলতে শোনা যায় যে, 'আওয়ামী লীগের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে হিন্দুরা বাংলাদেশে আছে।'

এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে গত ১৮ ডিসেম্বর শ্যামলের বিরুদ্ধে হাতীবান্ধা থানায় লিখিত অভিযোগ করার পরেও কোনো কাজ হয়নি বলে মন্তব্য করেন ব্রজেন্দ্রনাথ বর্মণ।

একই কথা জানিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেওয়া রনজিত রায় বলেন, 'আওয়ামী লীগ নেতা শ্যামলের এমন হুমকি আমাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে। কিন্তু তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেও কোন ফল পাচ্ছি না। তিনি প্রভাবশালী হওয়ায় আমরা এখনো ভয়ার্ত অবস্থায় আছি।'

এছাড়া সিন্দু বালা নামের এক নারীর ভাষ্য, 'সিন্দুর্ণা ইউনিয়নের উপনির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগ নেতা শ্যামল হিন্দু নারীদের নিয়েও নানা কটুক্তি করেছিলেন।'

এই অভিযোগের বিষয়ে কথা বলার জন্য আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামলের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মুসা মিয়া ডেইলি স্টারকে বলেন, 'হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের এমন অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।'

 

 

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

1h ago