কলেজ শিক্ষার্থী হত্যা: পিবিআইয়ের প্রতিবেদনে বাদীর নারাজি
ঢাকার গুলশানে কলেজ শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন অভিযোগকারী।
সেই শিক্ষার্থীর বড় বোন ও মামলার বাদী নুসরাত জাহান তানিয়া আজ ঢাকার একটি ট্রাইব্যুনালে অনাস্থা (নারাজি) আবেদন করেছেন।
আবেদনে অভিযোগকারী বলেন, আইও মামলাটির সঠিকভাবে তদন্ত করেননি।
ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক বেগম মাফরোজা পারভিন মামলার বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য ১৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত বছরের ১২ অক্টোবর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন পিবিআইয়ের পরিদর্শক ও তদন্ত কর্মকর্তা গোলাম মুক্তার আশরাফ উদ্দিন।
তদন্ত প্রতিবেদনে, আইও বলেছেন, তিনি আনভীর এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে কলেজ শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও হত্যার কোনো সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পাননি।
তিনি বলেন, 'আমি বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত তদন্ত করেছি এবং জানতে পেরেছি যে আনভীর সেই শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার সময় উপস্থিত ছিলেন না। সেখানে যৌনমিলনের প্রমাণ ছিল কিন্তু জোরপূর্বক যৌনমিলন হয়েছে এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সুতরাং মামলায় 'ফ্যাক্টুয়াল এরর' অভিহিত করে আমি একটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি।
মামলার আইও ট্রাইব্যুনালের কাছে আবেদন করেন যে, আনভীর এবং অন্যান্যদের মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক।
২০২১ সালের ২৬ এপ্রিল গুলশানের একটি ফ্ল্যাটে ২১ বছর বয়সী ওই কলেজ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরে নিহতের বোন বাদী হয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে আনভীরের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা করেন।
২০২১ সালের ১৯ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এবং গুলশান থানার ওসি আবুল হাসান ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন এবং আনভীরকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন করেন।
তদন্ত প্রতিবেদনের পর একই বছরের ১৮ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে আনভীরকে মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন।
পরে সেই কলেজ শিক্ষার্থীর বড় বোন একই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এ ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেন।
ওই ঘটনায় বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ওরফে শাহ আলমসহ আরও ৬ জনকে আসামি করা হয়।
Comments