বিএনপির গণমিছিল কর্মসূচি

১০ ডিসেম্বরের মতোই সতর্ক পাহারায় থাকবো আমরা: কাদের

বিএনপির গণমিছিল কর্মসূচি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ১০ ডিসেম্বরের মতোই সতর্ক পাহারায় থাকবো আমরা।
ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

বিএনপির গণমিছিল কর্মসূচি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ১০ ডিসেম্বরের মতোই সতর্ক পাহারায় থাকবো আমরা।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঢাকাসহ সারা দেশে আমরা ১০ ডিসেম্বরের মতোই সতর্ক পাহারায় থাকবো। একই অবস্থানে আমরা থাকবো। গণমিছিলের নামে তারা সহিংসতা করবে, আগুন নিয়ে আসবে, ভাঙচুর করবে, তো আমরা কি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ললিপপ খাব?

বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফার পাশাপাশি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ গ্রেপ্তার নেতাদের মুক্তির দাবিতে আগামীকাল ঢাকায় গণমিছিল কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। গত ২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন থাকায় বিএনপির কর্মসূচি পিছিয়ে ৩০ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়।

রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থীর পরাজয় প্রসঙ্গে কাদের বলেন, এটা সাধারণ নির্বাচন না, স্থানীয় সরকার নির্বাচন। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নানা বিবেচনা হয়। জনমত জরিপে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সেখানে এগিয়ে ছিল। আমাদের ভেতরে কিছু সমস্যাও আছে। না হলে ভোটের এত ব্যবধান হওয়ার কথা না। যে নেক্সট ভোট পেয়েছে, সে কিন্তু আমাদের দলেরই লোক। আমরা তো কেউ যাইনি, প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নেইনি। আমরা আগেই জানতাম যে, এখানে এগিয়ে আছে জাতীয় পার্টির প্রার্থী। এখানে কোনো বাড়াবাড়ি হয়নি সরকারি দল থেকে। আমরা পিছিয়ে আছি বলে এগিয়ে যাওয়ার জোর করে চেষ্টা করিনি। সেদিক থেকে এখানে গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের বিষয়গুলো আমরা খতিয়ে দেখছি। তদন্ত করে দেখছি। ১ সপ্তাহের আমরা বড় রকমের সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছি। খেলা এখানে না, খেলা হবে নির্বাচনে। রংপুর এমনিই এরশাদ সাহেবের প্রভাবিত এলাকা। এটা সত্য কথা। মোস্তফা ব্যক্তিগতভাবে খুবই জনপ্রিয়। জনগণের রায় আমরা মেনে নিয়েছি।

প্রার্থী বাছাইয়ে ত্রুটি ছিল কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি মোটেই মনে করি না। আমাদের দেশে আওয়ামী লীগই একমাত্র দল, যে দল নারী রিপ্রেজেন্টেশনের ব্যাপারে গুরুত্ব দিচ্ছে। আমরা জানি দুর্বল, তারপর অনেক ইউনিয়নে নারী প্রার্থী দিয়েছি। আমরা জানতাম হেরে যাওয়ার ঝুঁকি আছে, তারপরও অনেককে পৌরসভা-উপজেলায় মনোনয়ন দিয়েছি। এরা অনেকে জিতেছে, অনেকে হেরেছে। সিটি করপোরেশনে একজন নারী আমাদের বহুদিনের পোড় খাওয়া কর্মী ডালিয়া। নিবেদিত প্রাণ, কোনো বদনাম নেই। একজন নারীকে দিয়ে আমরাও দেখলাম প্রতিক্রিয়া কী! আমাদের দলেও দেখলাম, বাইরেও দেখলাম। অভিজ্ঞতা হলো।

যারা বলেন, ৩৩ শতাংশ করে না কেন? আওয়ামী লীগ এগুচ্ছে কিন্তু নারী ক্ষমতায়নে, বিশেষ করে নারী উপজেলা চেয়ারম্যান বানাবো বা সরাসরি সংসদীয় আসনে নামাবো; এটা আমাদের দেশে এখনো একটা চ্যালেঞ্জ। এটা মেনে নিতে চায় না। আমাদের দলের পুরুষ নেতারাই মেনে নিতে চায় না। দেখেন রংপুরের অবস্থা। আমাদের নেতারা কি সক্রিয় ছিল? তাহলে কি আওয়ামী লীগের এ অবস্থা হয়? আওয়ামী লীগ বড়জোর দ্বিতীয় হতে পারে, এ অবস্থা তো হওয়ার কথা না। সেখানে সমস্যা হয়েছে কিন্তু প্রার্থী নির্বাচন সর্বসম্মতভাবে আমরা করেছি, এখানে কোনো ভুল হয়নি। ডালিয়া রংপুর আদালতের প্রতিষ্ঠিত আইনজীবী। কোনো অপকর্মের সঙ্গে জড়িত না। মানুষ হিসেবে খুব সুনাম তার রংপুর শহরে, বলেন তিনি।

গণমাধ্যমকে সচেতনতা সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে কাদের বলেন, আমাদের দলের ভেতরে উল্টো সুর, আবার বাইরেও উল্টো সুর—তো নারীরা যাবে কোথায়! নারী কি দাঁড়াবে না?

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে এখন অনেক শক্তিশালী। ঢাকা শহরে আমাদের কখনো ইউনিট কমিটি ছিল না। এবার ২ সিটিতে ১ হাজার ৬০০ এর মতো ইউনিট কমিটি হয়েছে। এটা আওয়ামী লীগের ইতিহাসে হয়নি। এবার সবচেয়ে বেশি উপজেলা সম্মেলন হয়েছে। শুধুমাত্র রাজশাহীতে ৮২টির মধ্যে ৭২টি উপজেলা সম্মেলন হয়েছে। যেগুলো বাকি আছে, সেগুলো আমরা এখন করে ফেলবো, আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন কাদের।

তিনি আরও জানান, দু'এক দিনের মধ্যেই কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Interim govt to sit for dialogue with political parties from 2:30pm

According to government sources, Chief Adviser Prof Muhammad Yunus, along with other advisers, will take part in the dialogue from the government's side

Now