বিশ্বকাপে অন্যদের গোল করতে দেখে খেপে যাচ্ছিলেন হালান্ড

নরওয়ে বাছাইপর্ব পার হতে না পারায় কাতার বিশ্বকাপে খেলা হয়নি আর্লিং হালান্ডের।
ছবি: এএফপি

নরওয়ে বাছাইপর্ব পার হতে না পারায় কাতার বিশ্বকাপে খেলা হয়নি আর্লিং হালান্ডের। সময়ের অন্যতম সেরা এই স্ট্রাইকার তাই পরিণত হয়েছিলেন দর্শকে। বাড়িতে সোফায় বসে ফুটবলের সর্বোচ্চ আসরের ম্যাচগুলো দেখেছেন তিনি। কিন্তু ফর্মের তুঙ্গে থাকা এই তারকাকে জেঁকে ধরেছিল আক্ষেপ। আর সেটা রূপ নিয়েছিল রাগে-ক্ষোভে।

গত জুলাইতে যোগ দেওয়ার পর ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন হালান্ড। বুধবার রাতে তার জোড়া গোলে লিডস ইউনাইটেডের মাঠে ৩-১ ব্যবধানে জিতেছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপাধারীরা। নজরকাড়া নৈপুণ্যে নতুন আরেকটি কীর্তি নিজের করে নেন তিনি। প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে দ্রুততম ২০ গোলের রেকর্ড এখন হালান্ডের। এই অর্জনের জন্য তাকে খেলতে হয়েছে মোটে ১৪ ম্যাচ।

বিশ্বকাপের সময়টা কেমন কেটেছে তা ম্যাচের পর জানতে চাওয়া হয় হালান্ডের কাছে। তিনি জানান, অন্য ফুটবলারদের গোল করতে ও জিততে দেখে খেপে যাচ্ছিলেন তিনি। তবে ফুটবলের মহাযজ্ঞে সুযোগ না পাওয়ার আফসোস থাকলেও মাঝের বিরতি কাজে লাগিয়েছেন। আগের চেয়ে আরও বেশি গোলের ক্ষুধা অনুভব করছেন তিনি।

অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওকে হালান্ড বলেন, 'বাড়িতে থেকে কিছুটা খ্যাপাটে লাগছিল কারণ আমি বিশ্বকাপ খেলতে পারিনি এবং সোফায় থেকেছি। বিশ্বকাপ চলাকালে নিজের বাড়িতে বসে বসে ধারাভাষ্য দিয়েছি যেখানে কেউই আমাকে শুনতে পায়নি।'

২২ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড যোগ করেন, 'আমি আমার ব্যাটারি চার্জ দিয়েছি এবং বিশ্বকাপে অন্যদের গোল করতে ও জিততে দেখে রাগ যেমন হচ্ছিল, তেমন প্রেরণাও পাচ্ছিলাম। মাত্রই যেটা বললাম, এসব আমাকে খেপিয়ে দিচ্ছিল। আমি আগের চেয়ে অনেক বেশি ক্ষুধার্ত।'

তর্কসাপেক্ষে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফুটবল লিগের পয়েন্ট তালিকায় দুইয়ে রয়েছে ম্যান সিটি। স্প্যানিশ কোচ পেপ গার্দিওলার শিষ্যদের অর্জন ১৫ ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট। সমান ম্যাচে ৫ পয়েন্ট বেশি নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে আর্সেনাল। 

শিরোপা ধরে রাখার অভিযান নিয়ে হালান্ডের মন্তব্য, 'একটু আগেই ভেতরে (ড্রেসিং রুমে বাকিদের) বলছিলাম, আমি পাঁচ গোলও করতে পারতাম, এটা সত্যি। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আমরা জিতেছি। পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে আর্সেনালকে দেখতে পাচ্ছি এবং আমাদের এখন তাদের পিছনে ছুটতে হবে। তাই জয় পেয়ে আমরা সত্যিই খুশি।'

Comments

The Daily Star  | English

Free rein for gold smugglers in Jhenaidah

Since he was recruited as a carrier about six months ago, Sohel (real name withheld) transported smuggled golds on his motorbike from Jashore to Jhenaidah’s Maheshpur border at least 27 times.

11h ago