বাংলাদেশ-পর্তুগাল পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপ গঠন

বাংলাদেশ ও পর্তুগালের জাতীয় পতাকা। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ও পর্তুগালের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করতে দেশটির জাতীয় সংসদে ১০ সদস্যের 'বাংলাদেশ-পর্তুগাল পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপ' গঠন করা হয়েছে।
 
দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

পর্তুগিজ জাতীয় পরিষদের সহ-সভাপতি (ডেপুটি স্পিকার) ড. আদাঁও সিলভা বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারিক আহসানকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি অবহিত করেন।

পর্তুগালের বর্তমান ১৫তম জাতীয় সংসদ 'পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপ' প্রতিষ্ঠার জন্য বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের তালিকা হালনাগাদ করে। সর্বমোট ৫৯টি দেশের এ তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার ৩টি দেশসহ মোট ১৪টি এশীয় দেশ রয়েছে। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।      

বাংলাদেশ দূতাবাসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, 'বাংলাদেশ-পর্তুগাল পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপ'-এ সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন  পর্তুগাল সংসদের ডেপুটি স্পিকার ড. আদাঁও সিলভা, যিনি মধ্য-ডানপন্থী সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (পিএসডি) সংসদ সদস্য। 

গ্রুপের অন্য সদস্যদের মধ্যে বর্তমান ক্ষমতাসীন মধ্য-বামপন্থী পর্তুগাল সোশ্যালিস্ট পার্টি (পিএস) থেকে ২ জন সহ-সভাপতিসহ মোট ৪ জন, মধ্য-ডানপন্থী সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (পিএসডি) থেকে ৪ জন এবং ডানপন্থী শেগা পার্টি থেকে একজন সংসদ সদস্য রয়েছেন। 
   
'পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপ' মূলত পর্তুগাল এবং এর বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলোর জাতীয় সংসদের মধ্যে সংযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে বিদ্যমান সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় উন্নীতকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
 
এ ছাড়া, পারস্পরিক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে অভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সহযোগিতা বৃদ্ধিকরণে পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপগুলো নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
  
উল্লেখ্য, চলতি বছরের মে মাসে রাজধানী লিসবনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এবং পর্তুগিজ সংসদের ডেপুটি স্পীকার ড. আদাঁও সিলভার মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উভয় দেশের জাতীয় সংসদের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির উপায় নিয়ে আলোচনা হয়।
 
তার ফলশ্রুতিতেই পর্তুগালের জাতীয় পরিষদ এই প্রথম 'বাংলাদেশ-পর্তুগাল পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপ' প্রতিষ্ঠা করলো। নবগঠিত এই ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপ নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ ও পর্তুগালের জনগণের মাঝে এক নতুন সেতুবন্ধন হিসাবে কাজ করবে এবং বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে নিবিড় করবে। 

মো. রাসেল আহম্মেদ: পর্তুগাল প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English
govt employees punishment rule

Govt employees can now be punished for infractions within 14 working days

Law ministry issues ordinance amending the Public Service Act, 2018

1h ago