চীনে ২০ দিনে ২৫ কোটি মানুষের করোনা শনাক্ত: সিএনএন

চীনে করোনা
চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় হেনান প্রদেশের জিনইয়াং শহরের এক করোনা পরীক্ষাকেন্দ্রে অপেক্ষা। ডিসেম্বর ১৫ ২০২২। ছবি: রয়টার্স

চীনে চলতি ডিসেম্বরের প্রথম ২০ দিনে অন্তত ২৫০ কোটি মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে বলে পশ্চিমের গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।

তবে চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের (এনএইচসি) হিসাবে উল্লেখিত সময়ে দেশটিতে ৬২ হাজার ৫৯২ জনের করোনার লক্ষণ দেখা গেছে।

গতকাল শুক্রবার ব্লুমবার্গ নিউজ ও ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়েছে, সিএনএন এসব হিসাব যাচাই করতে পারেনি।

সিএনএন'র প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বুধবার এনএইচসির বৈঠকে ডিসেম্বরের প্রথম ২০ দিনে অন্তত ২৫০ কোটি মানুষের করোনা শনাক্তের তথ্য উপস্থাপন করা হয়। সেই বৈঠকে উপস্থিত সূত্রগুলো থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

করোনা রোগীদের চিকিৎসার বিষয়টিও সেই বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এনএইচসির বৈঠকের তথ্য গতকাল চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

এ বিষয়ে এনএইচসি তাৎক্ষণিকভাবে সিএনএনের কাছে কোনো মন্তব্য করেনি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, চীনা কর্মকর্তাদের হিসাব যদি সত্য হয় তাহলে দেশটির ১৪০ কোটি মানুষের অন্তত ১৮ শতাংশের করোনা শনাক্ত হলো, যা একক দেশ হিসেবে বিশ্বে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।

চীনে করোনা
বেইজিংয়ে এক ফার্মেসির বাইরে ডেলিভারি কর্মীদের অপেক্ষা। ২০ ডিসেম্বর ২০২২। ছবি: রয়টার্স

ব্লুমবার্গ ও ফিন্যান্সিয়াল টাইমসে বলা হয়েছে, গত মঙ্গলবার চীনে একদিনেই ৩ কোটি ৭০ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে সরকারি হিসাবে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৪৯ জন।

ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেন্টশনের উপপরিচালক সান ইয়াং কর্মকর্তাদের রুদ্ধদ্বার বিফ্রিংয়ে বলেছেন, চীনে করোনার বিস্তার হচ্ছে। শুধুমাত্র বেইজিং ও সিচুয়ানে ইতোমধ্যে মোট বাসিন্দার অর্ধেক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

তবে সেই বৈঠকে এখন পর্যন্ত করোনায় নতুন করে কত জন মারা গেছেন তা নিয়ে আলোচনা হয়নি বলেও সিএনএনের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুসারে, চীন আনুষ্ঠানিকভাবে চলতি মাসে করোনায় ৮ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, দেশটির ৮০ বছরের বেশি বয়সীদের ৪২ দশমিক ৩ শতাংশকে করোনা টিকার তৃতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে।

হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের এপিডেমিওলজি বিভাগের অধ্যাপক বেন কাউলিং সিএনএনকে বলেছেন, 'এই সংখ্যা বিশ্বাসযোগ্য। তবে তা যাচাইয়ের সুযোগ নেই। যদি এই হিসাব সত্য হয়, তাহলে আগামী দিনগুলোয় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়বে।'

Comments

The Daily Star  | English
compensation for uprising martyrs families

Each martyr family to get Tk 30 lakh: Prof Yunus

Vows to rehabilitate them; govt to bear all expenses of uprising injured

7h ago