কুলদিপকে একাদশে না দেখে অবাক সিডন্স
প্রথম ইনিংসে উইকেট পেয়েছেন ৫টি আর দ্বিতীয় ইনিংসে ৩টি। হয়েছেন ম্যাচসেরা। শুধু উইকেট বিচারেই নয়, চট্টগ্রাম টেস্টে উইকেটে কুলদিপ যাদবের বিপক্ষেই বেশ ভুগতে হয়েছে বাংলাদেশি ব্যাটারদের। সেই কুলদিপ নেই ঢাকা টেস্টে। সফরকারীদের এমন সিদ্ধান্তে অবাক বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স।
তার উপর বরাবরই রিষ্ট স্পিনারদের বিপক্ষে ভুগে থাকেন টাইগার ব্যাটাররা। এছাড়া মিরপুরের উইকেটে বরাবরই সহায়তা পেয়ে থাকেন স্পিনাররা। এদিনও দেখা গিয়েছে একই চিত্র। রবিচন্দ্রন অশ্বিন শুরু থেকেই বাড়তি বাউন্স ও টার্ন পেয়েছেন। যদিও নিয়মিত নয়, তবে প্রথম দিনের বিচারে ভীতি জাগানিয়া।
ভারতের এমন সিদ্ধান্তে অবাক সিডন্স তাই সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, 'আমরা হয়তো খুব ভালোভাবে (ঢাকার) উইকেট পড়তে পারিনি। কিন্তু (চট্টগ্রামে) আমরা কুলদিপকেও খুব ভালোভাবে পড়তে পারিনি। আমরা খুবই অবাক হয়েছি যে সে খেলছে না দেখে।'
'আমি মনে করি ফাস্ট বোলারদের জন্য এটা বেশ ফ্লাট উইকেট। স্পিনারদের জন্য এটা টার্নিং এবং বাউন্সি হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে খেলা কঠিন। অশ্বিন আজ কিছু অবিশ্বাস্য বাউন্স এবং স্পিন পেয়েছে। আশা করি (তিন) স্পিনার নিয়ে খেলা আমাদের সিদ্ধান্ত ভালো। তারা আগামীকাল সারাদিন বল করে ভারতের রান করা কঠিন করে তুলতে পারে,' যোগ করেন সিডন্স।
তবে কুলদিপকে ছাড়াও ভুগতে হয়নি বাংলাদেশকে। অবশ্য তার পরিবর্তে জয়দেব উনাদকাটকেও নেওয়ার সিদ্ধান্তটাও কম বিস্ময়কর নয়। এর আগে শেষ টেস্ট খেলেছেন ১২ বছর আগে। এর মাঝে ভারত খেলেছে ১১৮টি টেস্ট। দীর্ঘদিন পর ফিরে অবশ্য খারাপ করেননি উনাদকাট। ৫০ রানের খরচায় পেয়েছেন ২টি উইকেট।
কুলদিপকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তটা কেন নেওয়া হয়েছে তা জানতে চাওয়া হয় ভারতীয় পেসার উমেশ যাদবের কাছে। ২৫ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট নিয়ে টাইগারদের ব্যাটিং লাইনআপ ধসিয়ে দেওয়ার অন্যতম কারিগর বলেন, 'এটা একটি টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত। কখনও কখনও আপনাকে যা প্রয়োজন তা নিয়ে চলতে হবে। আপনি উইকেট দেখে তারপর সিদ্ধান্ত নিবেন।'
Comments