রাজাকার-আলবদরের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরিতে আরও ৬ মাস লাগতে পারে

মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করা রাজাকার ও আলবদরের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করতে আরও ৬ মাস সময় লাগতে পারে।

এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংসদীয় উপকমিটি এখনো কাজটি শেষ না করায় বিষয়টি দীর্ঘায়িত হচ্ছে।

উপকমিটির অন্যতম সদস্য জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'তালিকায় কোনো ভুল যেন না থাকে, তা নিশ্চিত করতে আমরা সতর্কভাবে কাজ করছি।'

এর আগে, ২০১৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর রাজাকার-আলবদরের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। কিন্তু ওই তালিকা নিয়ে দেশব্যাপী ক্ষোভ ও প্রতিবাদ হওয়ায় ৩ দিন পর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ত্রুটিপূর্ণ ওই তালিকা স্থগিত করে।

পরে তালিকা তৈরির জন্য ২০২০ সালের আগস্টে ৬ জন সংসদ সদস্যের সমন্বয়ে একটি উপকমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু কোনো সভা করতে না পারায় কমিটিটি পরে বাতিল করা হয়।

চলতি বছরের এপ্রিলে সংসদ সদস্য শাজাহান খানের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একটি কমিটিকে তালিকা তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়। কমিটির সদস্যরা হলেন- শাজাহান খান, কাজী ফিরোজ রশীদ ও ক্যাপ্টেন (অব.) তাজুল ইসলাম।

এক প্রশ্নের জবাবে কাজী ফিরোজ রশিদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা নিয়মিত সভা করছি। অনেক জেলা থেকে রাজাকারদের তালিকা পেয়েছি।'

'আমরা সতর্কতা অবলম্বন করছি, যেন কেউ ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে অন্যায়ভাবে কারও নাম তালিকাভুক্ত করার সুযোগ না নেয়', যোগ করেন তিনি।

এর আগে, জেলা প্রশাসকদের দেওয়া তালিকায় অনেক জেলায় কোনো রাজাকারই ছিল না বলে শাজাহান খান গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, 'সরকারিভাবে তালিকা তৈরির পাশাপাশি আমরা তৃণমূল পর্যায় থেকেও রাজাকারদের তালিকা সংগ্রহ করছি।'

কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, 'তথ্য যাচাইয়ের জন্য আমরা স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করছি।'

চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি রাজাকার-আলবদরের তালিকা তৈরি করতে এই উপকমিটি গঠন করে।

Comments

The Daily Star  | English

Election in first half of April 2026

In his address to the nation, CA says EC will later provide detailed roadmap

9h ago