অপরিণত বয়সের পরিণত গেরিলা

মুক্তিযুদ্ধে দুঃসাহসী কিশোরেরা
লক্ষ্যবস্তুতে গ্রেনেড ছুঁড়ছেন আবদুল খালেক, মাঝে রাইফেল তাক করে আছেন আবদুল মজিদ, তার বাঁয়ে একই কায়দায় মজিবর রহমান। ছবি: নায়েব উদ্দিন আহমেদ

লক্ষ্যবস্তুতে গ্রেনেড ছুঁড়ছেন আবদুল খালেক, মাঝে রাইফেল তাক করে আছেন আবদুল মজিদ, তার বাঁয়ে একই কায়দায় মজিবর রহমান। ১৯৭২ সালের ৩ জানুয়ারি দৈনিক বাংলা পত্রিকায় প্রকাশিত এই একটি ছবিই যেন হয়ে উঠেছে মুক্তিযুদ্ধের গোটা রণাঙ্গনের প্রতিকৃতি। 

মুক্তিযুদ্ধের ৭ ডিসেম্বর শেষ বিকেলে ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর একটি বাঙ্কারে গ্রেনেড ও গুলিবর্ষণের সময় ৩ মুক্তিযোদ্ধার অসামান্য এই ছবিটি তুলেছিলেন প্রখ্যাত আলোকচিত্রী নায়েব উদ্দিন আহমেদ। বলাবাহুল্য মুক্তিযুদ্ধের সময়ে এই ৩ মুক্তিযোদ্ধাই ছিলেন কিশোর। তখন তাদের বয়স ছিল মাত্র ১২-১৪ বছর।

কিশোরদের মন কোমল, চিন্তা চেতনায় তারা পরিপক্ব নয়। কিশোরদের সিদ্ধান্ত অবনমিত চিরকাল। এমনই একটি বদ্ধ ধারণা আমাদের সমাজে।   কিন্তু আমাদের মুক্তিযুদ্ধে এই কিশোররাই যে তাদের অবিস্মরণীয় কর্মের মাধ্যমে কিংবদন্তি ও প্রবাদতুল্য হয়ে উঠতে পারে তার দৃষ্টান্ত দেখা গিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধে বাংলার ইতিহাসের অবিস্মরণীয় অধ্যায়ের স্বয়ং লিপিকার হয়ে ছিলেন এই কিশোররাই। তাদের দুর্দম সাহস, ত্যাগের অবিশ্বাস্য নজির আর বীরত্ব দখল করে আছে মুক্তিযুদ্ধের পুরোভাগেই। 

সময়টা মুক্তিযুদ্ধের ৭ অক্টোবর। এদিন গভীর রাতে টাঙ্গাইলের গোপালপুরে পাকিস্তানি বাহিনীর শক্ত ঘাঁটির ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালান মুক্তিযোদ্ধারা। এসময় পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে হানাদার বাহিনীও। তখন ২ পক্ষের মধ্যে শুরু হয় চরম সংঘর্ষ। সংঘর্ষের একপর্যায়ে ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল শহর থেকে বিপুল পরিমাণ পাকিস্তানি সেনা এসে যোগ দেয় যুদ্ধরত হানাদার সেনাদের সঙ্গে। স্বভাবতই হানাদারদের শক্তি বৃদ্ধি পায়। কিন্তু এ অবস্থায়ও ৮ অক্টোবর পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যান মুক্তিযোদ্ধারা। তবুও পতন ঘটেনি পাকিস্তানি বাহিনীর। 

তখন মুক্তিযোদ্ধাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। কী করে হানাদার সেনাদের হাত থেকে থানার দখল নিতে হবে। অধিনায়ক আবদুল হাকিম চিন্তা করলেন রণকৌশল পরিবর্তনের। প্রথমে মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানিদের চারপাশ থেকে অবরুদ্ধ করে ফেলেন হানাদার সেনাদের। লালু নামের এক কিশোরকে চায়ের দোকানের কাজের ছেলের ছদ্মবেশে পাকিস্তানি ক্যাম্পে পাঠানো হয়। 

লালু দলনায়কের নির্দেশে প্রথমে পাকিস্তানি বাহিনীর নানা ফুট ফরমাশ খেটে প্রথমে আস্থা অর্জন করে। এরপর একপর্যায়ে হানাদারদের অমনোযোগিতার ফাঁকে হানাদারদের ঘাঁটিতে গ্রেনেড ছুঁড়ে মারে। মুহূর্তেই ৮ জন হানাদার সেনা নিহত হয়। একপর্যায়ে ভুলুসহ আরও কয়েকজন কিশোর মুক্তিযোদ্ধাকে দিয়ে প্রতিরাতেই ঘাঁটির আনাচে-কানাচে গ্রেনেড ছুঁড়ে মারতে থাকে। ফলে হানাদারদের টিকে থাকা দুষ্কর হয়ে পড়ে। কেবল এই একটি যুদ্ধই নয়, ভুলু অংশ নিয়েছিলেন আরও কয়েকটি সম্মুখ সমরে।

মুক্তিযুদ্ধের সময় মাত্র ১৩ বছর বয়সী কিশোর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল ইসলাম লালুই ছিলেন দেশের সর্বকনিষ্ঠ খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা।

কেবল যে কিশোররাই মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন তা কিন্তু নয়। মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন অসংখ্য কিশোরীও। তেমন এক কিশোরী তারাবানু। মুক্তিযুদ্ধে যখন তিনি অংশ নেন তখন তার বয়স মাত্র ১৪ বছর। 

মুক্তিযুদ্ধের সময় তারামন বিবির বয়স ছিলো মাত্র ১৪ বছর। ছবি: সংগৃহীত

মুক্তিযুদ্ধের মাঝামাঝি সময়ে মুহিদ হাওলাদার নামে এক মুক্তিযোদ্ধা তারাবানুদের বাড়িতে এসে তারাবানুর মাকে বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে রান্নাবান্নার ভীষণ অসুবিধা। যদি তার মেয়েকে ক্যাম্পে রান্নাবান্নার জন্য দেওয়া হয় তবে বিনিময়ে কিছুটা টাকা দেবে মুক্তিযোদ্ধারা। কিন্তু শুনেও রাজি হলেন না তারাবানুর মা। শেষপর্যন্ত উপায় না পেয়ে মুহিদ হাওলাদার বললেন, ও আমার ধর্ম মেয়ে। আমি ওর বাবার মতো। আপনার মেয়ের সব দায়িত্ব আমার। তখন মেয়েকে ছাড়তে রাজি হলেন তারাবানুর মা। মুহিদ হাওলাদারই তারাবানুর নাম বদলে রাখেন তারামন। 

মুক্তিবাহিনীর ক্যাম্পে তারামন রান্নার পাশাপাশি অস্ত্রও সাফ করতেন। অস্ত্র সাফ করতে গিয়ে তিনি দেখতের অস্ত্রের কী তেজ। একদিন মুহিব হাওলাদার তারামনের যুদ্ধের প্রতি আগ্রহ দেখে তাকে রাইফেল চালনা শেখান। বয়স কম হলেও স্টেনগান চালনাও শেখানো হয় তাকে। 

একদিন মুক্তিযোদ্ধারা খেতে বসেছেন। তারাবানু তখন সুপারি গাছের উঁচুতে উঠে হানাদার সেনাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছেন। হঠাৎ তিনি দেখলেন হানাদারদের একটি গানবোট দ্রুতগতিতে এগিয়ে আসছে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে ক্যাম্প কমান্ডারকে জানালেন। মুহূর্তেই খাওয়া ছেড়ে স্ব-স্ব অবস্থান নিলেন মুক্তিযোদ্ধারা। পাকিস্তানি হানাদারদের সঙ্গে সেদিন দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত একটানা যুদ্ধ হয়েছিল। তারাবানু সেদিন সতর্ক না করলে মুক্তিযোদ্ধারা মাটির সঙ্গে মিশে যেত। 

কেবল সম্মুখ যুদ্ধই নয়, অভিনয় পারদর্শী হওয়ায় তারামন কখনো মাথায় চুলে জট লাগানো পাগলের বেশে, কখনো পঙ্গু ভিক্ষুকের বেশে পাকিস্তানীদের ক্যাম্পে ঢুকে পর্যবেক্ষণ করে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে পাচার করতেন হানাদারদের নানা তথ্য। হানাদারেরা মনে করতো এই মেয়ে নিশ্চয়ই মানসিক প্রতিবন্ধী। যার ফলে তারা বাঁধা দিতো না। এ ছাড়া বহু অপারেশনের আগে তারামন ভেলায় করে মুক্তিবাহিনীর ক্যাম্পের রসদ, অস্ত্র গোলাবারুদ পৌঁছে দিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত ৩ জন মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে তারামন বিবি বীর প্রতীক অন্যতম।  

মুক্তিযুদ্ধে ১৪ বছর বয়সী মোজাম্মেল হক যে অপারেশন করেছিলেন তা তো রীতিমতো অবিশ্বাস্য। যা প্রচণ্ড আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। 

মুক্তিযুদ্ধের অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে চাচার সহযোগিতায় পূর্ব পাকিস্তানের সাবেক গভর্নর মোনায়েম খানের বনানীর বাড়িতে গিয়েছিলেন মোজাম্মেল হক। সেখানে গিয়ে তিনি মোনায়েম খানের বাড়ির দুজন কাজের লোকের সঙ্গে পরিচিত হন। যারা মোনায়েম খানের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। একপর্যায়ে মোনায়েম খানের ওপর আক্রমণ করতে গিয়ে ব্যর্থ হন কিশোর মোজাম্মেল। দ্বিতীয় দফায় আক্রমণ করার সময় বাড়ির লোকজন ও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ টের পেয়ে যাওয়ায় পালিয়ে যান মোজাম্মেল। তৃতীয় দফায় ১৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় এক সহযোদ্ধাকে সঙ্গে নিয়ে বনানী কবরস্থান দিয়ে বেলুচ রেজিমেন্টের কঠোর পাহারা ডিঙ্গিয়ে  মোনায়েম খানের বাসভবন 'বাগ- এ- মোনায়েমের' ড্রয়িং রুমে ঢুকে পড়েন মোজাম্মেল হক। এ সময় তার ছোঁড়া গুলিতে নিহত হয় মোনায়েম খান।

মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগের এক অনন্য নজির স্থাপন করেছিলেন শহীদ গোলাম দস্তগীর টিটো। ছবি: সংগৃহীত

মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী আরেক দুর্ধর্ষ কিশোর ছিলেন শহীদ গোলাম দস্তগীর টিটো। মুক্তিযুদ্ধের শুরুর দিকে টিটোর ভাইকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে পাকিস্তানি বাহিনী। একইসঙ্গে তাদের পুরো গ্রাম ভস্মীভূত করে দেওয়া হয়। 

আপন ভাইকে হত্যার প্রতিশোধ নিতেই মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন টিটো। মুক্তিযুদ্ধে যোগদানের আগে যখন তাকে মুক্তিবাহিনীর কমান্ডার নাসির উদ্দিন ইউসুফ মুক্তিযুদ্ধের কারণ জিজ্ঞেস করলে টিটো জবাব দিয়েছিলেন, 
'আমি ওদের সবাইরে মাইরা ফালামু, ওরা আমার ভাইরে মারছে। আমি ওদের আগুনে পুইড়া ছাই বানামু। ওরা আমার গ্রাম পুইড়া ছাই বানাইছে। সব কয়টারে গুলি করে মাইরা প্রতিশোধ নিমু।'

মুক্তিযুদ্ধের ১৪ ডিসেম্বরের ভোরে সাভারের জিরাবোর ঘোষবাগে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয় হানাদার বাহিনী। যুদ্ধের একপর্যায়ে হানাদারদের একটি ভারী মেশিনগান বন্ধ করা ছাড়া কোন উপায় ছিলো না মুক্তিবাহিনীর সামনে। তখন টিটোই এগিয়ে যান সেই মেশিনগান থামানোর জন্য। মেশিনগানের গুলিতে বিদীর্ণ হয়ে যায় টিটোর বুক। শহীদ হন টিটো। টিটোর রক্তের শোক শক্তিতে রূপান্তর করে মুক্তিযোদ্ধাদের। একপর্যায়ে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয় হানাদার বাহিনী। দেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র ২ দিন আগে শহীদ হওয়ায় স্বাধীনতার সূর্য দেখে যেতে পারলেন না শহীদ গোলাম দস্তগীর টিটো। 

কিশোর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালেক বীর প্রতীক। ছবি: সংগৃহীত

মুক্তিযুদ্ধে কিশোর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে আরেক অদম্য মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন আবদুস সালেক বীর প্রতীক। এই দুর্ধর্ষ মুক্তিযোদ্ধা যখন মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৪ বছর। 

মুক্তিযুদ্ধে কসবা যুদ্ধের একপর্যায়ে পাকিস্তানি বাহিনীর ছোড়া তীব্র মর্টার আক্রমণে বাঙ্কার ত্যাগ করা রীতিমতো অসাধ্য হয়ে পড়েছিল  মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য। তখন শত্রুপক্ষকে ব্যস্ত রাখাই ছিল একমাত্র উপায়। একপর্যায়ে আবু সালেকের অবিশ্রান্ত কভারিং ফায়ারে বাঙ্কার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ পান মুক্তিযোদ্ধারা। এ সময় হানাদেরদের ছোড়া গুলিতে আহত হন তিনি। এই দুঃসাহসী কিশোর মুক্তিযোদ্ধা পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে একাধিক অপারেশনে অংশ নিয়েছিলেন। 

কামালপুর আত্মসমর্পণের নায়ক বশির আহমেদ বীর প্রতীক এবং আনিসুল হক সঞ্জু বীর প্রতীক। ছবি: সংগৃহীত

মুক্তিযুদ্ধের অবিস্মরণীয় কামালপুর আত্মসমর্পণের সঙ্গে জড়িয়ে আছেন দুজন কিশোর মুক্তিযোদ্ধা। বশির আহমেদ ও আনিসুল হক নামের এই ২ মুক্তিযোদ্ধার বয়ে নিয়ে যাওয়া আত্মসমর্পণের পত্রের কারণে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জামালপুরের কামালপুরে আত্মসমর্পণ করেছিল।  

মুক্তিযুদ্ধে একটি স্কুল অবিস্মরণীয় ইতিহাস দখল করে আছে। জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর কো–অপারেটিভ উচ্চবিদ্যালয় নামের একটি স্কুল থেকে ৫৯ জন শিক্ষার্থী যোগ দিয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধে। এদের মধ্যে সবাই ছিলেন কিশোর মুক্তিযোদ্ধা। 

কুষ্টিয়ার রণাঙ্গনে এক নাম না জানা মুক্তিযোদ্ধা। ছবি: সংগৃহীত

এই বিদ্যালয়েরই ৩ জন শিক্ষার্থী মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য বীরত্বের জন্য  পেয়েছিলেন বীর প্রতীক খেতাব। যার মধ্যে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী নূর ইসলাম অসামান্য বীরত্বের জন্য পেয়েছেন একই সঙ্গে বীর বিক্রম এবং বীর প্রতীক খেতাব। বাকি দুজন ছিলেন নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া মতিউর রহমান বীর প্রতীক এবং বশির আহমেদ বীর প্রতীক। 

মুক্তিযুদ্ধে দেশের কয়েক হাজার কিশোর হয়ে উঠেছিলেন বীরত্বের এক মূর্তিমান প্রতিচ্ছবি। সমস্ত বাঁধা অতিক্রম করে এগিয়ে যাওয়ার অদম্য শক্তি। ত্যাগের অবিনশ্বর পথিকৃৎ। তাইতো বাংলার কিশোরদের হাতেই রণাঙ্গনে সৃষ্টি হয়েছিল এক অনন্য ইতিহাস।

কবি গোলাম মোস্তফা তাইতো তার লেখা 'কিশোর' কবিতায় লিখেছিলেন- 

'কেউ বা হবো সেনানায়ক গড়বো নূতন সৈন্যদল,
সত্য-ন্যায়ের অস্ত্র ধরি, নাই বা থাকুক অন্য বল।
দেশমাতাকে পূজবো গো,
ব্যথীর ব্যথা বুঝবো গো,
ধন্য হবে দেশের মাটি, ধন্য হবে অন্নজল।'

 

সূত্র: বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ: দলিলপত্র দশম খণ্ড।

 

Comments

The Daily Star  | English

Ending impunity for crimes against journalists

Though the signals are mixed we still hope that the media in Bangladesh will see a new dawn.

10h ago