যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা খুনিদের মানবাধিকার রক্ষায় ব্যস্ত: প্রধানমন্ত্রী

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা হত্যাকারীদের মানবাধিকার রক্ষায় ব্যস্ত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারী নূর ও রাশেদের এই দুই দেশে অবস্থান প্রসঙ্গে তিনি এ মন্তব্য করেছেন। 

আজ বুধবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, '১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক থেকে শুরু করে ডাক্তার-সাংবাদিকদের হত্যা করা হয়েছিল। নিজামী থেকে শুরু করে অনেকের আমরা বিচার করেছি, বিচারের রায় আমরা কার্যকর করেছি। এদেরকেই খালেদা জিয়া ক্ষমতায় বসিয়েছিল, এদেরকে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় বসিয়েছিল, মন্ত্রী-উপদেষ্টা বানিয়েছিল।' 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'এরশাদ এসে আরও একধাপ উপরে গিয়ে জাতির পিতার খুনিকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বানিয়ে দিলো। সেই খুনি ফারুককে। ডালিম ও রশীদ এখনো পাকিস্তানে পলাতক। রাশেদ এখন যুক্তরাষ্ট্রে। বারবার আমরা তাদের কাছে অনুরোধ করেছি, খুনিকে সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে ফেরত দেন। তারা ফেরত দেয় না। খুনির মানবাধিকার রক্ষা করছে তারা। অর্থাৎ মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীকে রক্ষা করছে।'

'মেজর নূর যে সরাসরি ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে গিয়েছিল, সেই নূর এখন কানাডায়। কানাডা সরকারকে আমরা বারবার অনুরোধ করি, তাকে ফেরত দেয় না। খুনিদের মানবাধিকার রক্ষা করতে তারা ব্যস্ত,' যোগ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, 'তাহলে আমরা যারা স্বজন হারিয়েছি, আমাদের অপরাধ কী? সেটা আমি জাতির কাছে জিজ্ঞাসা করি। বিএনপি-জামাতের জন্য যারা কান্নাকাটি করে, তারা জবাব দিক। আমাদের আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে তারা। কত নেতাকে গুম করেছে।' 

'বিএনপি কোন মুখে গুম নিয়ে কথা বলে' এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, 'জিয়াউর রহমান যা করেছে, খালেদা জিয়া একই কাজ করেছে। আমার বাবা-মা-ভাইদের হত্যা করেছে, আমি বিচার চাইতে পারব না। এটা কোন আইন? সংবিধানে আছে বিচার চাইতে পারে। অথচ ১৫ আগস্ট যারা স্বজন হারিয়েছি, আমাদের বিচার চাওয়ার কোনো অধিকারই ছিল না। আমি ১৯৮১ সালে ফিরে এসে মামলা করতে গিয়েছি, আমাকে মামলা করতে দেওয়া হয়নি। কারণ ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স দিয়েছিল।'

'যারা খুনিদের এভাবে বিচারের হাত থেকে রেহাই দেওয়ার আইন করে, তাদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করে, তখন মানবাধিকার লঙ্ঘন হয় না,' বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    

Comments

The Daily Star  | English

Teknaf customs in limbo as 19 mt of rice, authorised by AA, reaches port

The consignment of rice weighing 19 metric tonnes arrived at Teknaf land port on Tuesday evening with the documents sealed and signed by the Arakan Army

2h ago