পারফর্মার অনেক, অভিনেতা সবাই নন: রওনক হাসান

রওনক হাসান। স্টার ফাইল ফটো

অভিনয় শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসান। টিভি নাটক ও চলচ্চিত্রের একজন ব্যস্ত অভিনেতা। এই অভিনেতার বর্তমান ব্যস্ততা দুটি নতুন সিনেমা নিয়ে। এছাড়াও, হাতে আছে একাধিক নাটক। পরিচালনা করেছেন দীর্ঘ একটি ধারাবাহিক।

দীর্ঘ দিন মঞ্চ-টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন, অভিনয় আপনার কাছে কী?

অভিনয় আমার জীবন, অভিনয় আমার সব। সুস্থ আছি, বেঁচে আছি- কিন্তু অভিনয় করতে পারছি না, এটা ভাবতেই পারি না। পারফর্মার ও অভিনেতার মধ্যে পার্থক্য আছে। পারফর্মার অনেক, অভিনেতা সবাই নন। বিষয়টিকে আমি এভাবেই দেখি।

এখন তো ওয়েবের জয়জয়কার?

ওয়েব এসে আমাদের একরকম বাঁচিয়ে দিয়েছে। কেননা, নাটকের বাজেট কমতে কমতে একেবারে কমে গিয়েছিল। সেজন্য ভালো কাজের বিষয়টি হারিয়ে ফেলেছি আমরা। কিন্তু, ওয়েব এসে সুন্দর লোকেশন, ভালো সেট, সময় নিয়ে শুটিং, ধরে ধরে দৃশ্য নির্মাণ সবই ফিরে এসেছে। নাটকে এটা একসময় ছিল। সিনেমার মতো ওয়েবের শুটিং হচ্ছে।

আমি বলব, ধ্বংসপ্রায় নাটকের ভয়াবহ অবস্থা থেকে আমরা আবারো ভালো চিত্রনাট্য, ভালো গল্প, ভালো অভিনয় চর্চায় ফিরতে পেরেছি। এটা ওয়েবের জন্য সম্ভব হয়েছে। অভিনেতা হিসেবে বেঁচে গেছি। এজন্য ওয়েবের অবদান অনেক।

নতুন ২টি সিনেমায় অভিনয় করছেন?

নয়া মানুষ ও যাপিত জীবন নামের নতুন দুটি সিনেমায় অভিনয় করছি। যাপিত জীবন কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের উপন্যাস থেকে নির্মিত হচ্ছে। এটা মূলত ভাষা আন্দোলনের গল্প নিয়ে সিনেমা। মারুফ চরিত্রে অভিনয় করছি। নয়া মানুষ সিনেমাটি চরের মানুষের গল্প। ভাসমান মানুষের গল্প। দুটি দুই ধরণের সিনেমা।

মঞ্চে আপনার পথচলা শুরু কবে?

১৯৯৪ সালে থিয়েটার আর্ট দিয়ে মঞ্চে অভিনয় শুরু করি। এরপর ১৯৯৯ সাল থেকে নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের হয়ে কাজ করছি। মঞ্চে সর্বশেষ অভিনয় করেছি খালেদ খান স্মরণে, ড. ইনামুল হক স্মরণে ও আলী যাকের স্মরণে নাটকে।

অভিনয় ছাড়া আপনি নাট্যকার ও নাট্যপরিচালক হিসেবেও সফল...

আমার লেখা প্রথম টেলিভিশন নাটকের নাম চৌকিদার। প্রথম লেখা ধারাবাহিক নাটক বয়স যখন একুশ। এটি চ্যানেল আইতে প্রচারিত হয়েছিল এবং বেশ সাড়া পড়েছিল। প্রথম পরিচালনা করি তোমাতেই নামে একটি নাটক। সর্বশেষ বিবাহ হবে নামে একটি ১০৫ পর্বর ধারাবাহিক নাটক পরিচালনা করেছি। নতুন নাটক পরিচালনার জন্য গল্প প্রস্তুত করছি।

চারদিকে বিশ্বকাপ ফুটবলের উত্তেজনা, এটাকে কীভাবে দেখেন?

খেলায় উন্মাদনা থাকবেই। মানুষের বিনোদনের প্রয়োজন আছে। খেলা মানুষের মনকে প্রসারিত করে। শরীর ও মন ভালো রাখে। ফুটবল নিয়ে উন্মাদনা ও উত্তেজনাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখি।

Comments