ইংল্যান্ড বনাম ফ্রান্স: প্রেডিকশন, একাদশ ও অন্যান্য রেকর্ড

যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ড্র করলেও ইরান ও ওয়েলসকে উড়িয়ে দিয়েই নকআউটে পা রেখেছিল ইংল্যান্ড। অন্যদিকে গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচ জিতলেও আফ্রিকান প্রতিপক্ষ তিউনিসিয়ার বিপক্ষে হেরেছিল ফ্রান্স। তবে দুই দলই শেষ ষোলো পেরিয়েছে দাপটের সঙ্গে। কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হবার আগে তাই আত্মবিশ্বাসের কমতি নেই কোন শিবিরেই।

ম্যাচের ফলাফল জানা যাবে ম্যাচ শেষেই, তবে তার আগে কাগজে কলমে দুদলের সামর্থ্য ও সাম্প্রতিক ফর্মের আলোকে ভবিষ্যৎবাণী নিয়ে হাজির আমরা। পাশাপাশি দুই দলের সম্ভাব্য একাদশ, ফর্মেশনও তুলে ধরা হলো ডেইলি স্টারের পাঠকদের জন্য-

কখন?

শনিবার, ১০ ডিসেম্বর, বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ১টা

কোথায়?

আল বাইত স্টেডিয়াম, আল খোর

টিম নিউজ

বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় দেশে ফিরে যাওয়া রাহিম স্টার্লিংয়ের দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে ম্যাচের আগেই। সব নিয়ম মেনে যথাসময়ে পৌঁছতে পারলে এই ম্যাচে দেখা যেতে পারে চেলসি ফরোয়ার্ডকে। আরেক ইংলিশ ফরোয়ার্ড কালাম উইলসন চোট সমস্যায় ভুগলেও ম্যাচের গুরুত্ব বিবেচনায় তাকে খেলিয়ে দিতে পারেন গ্যারেথ সাউথগেট। এমন কোন দুশ্চিন্তায় পড়তে হচ্ছে না দিদিয়ের দেশমকে। দলের সব তারকাকেই মহাগুরুত্বপূর্ণ এই লড়াইয়ে পাচ্ছেন তিনি।

নজরে থাকবেন যারা

ইংলিশদের সাফল্যের জন্য হ্যারি কেইনকে আক্রমণভাগে ছড়াতে হবে দ্যুতি। মাঝমাঠে দারুণ ফর্মে আছেন জুড বেলিংহাম। এই ম্যাচেও তার দারুণ অ্যাসিস্ট সহজ করে দিতে পারে কেইন-সাকাদের কাজ। ম্যানচেস্টার সিটির উঠতি তারকা ফিল ফোডেনকেও রাখতে হবে ভূমিকা।  

ফরাসিদের তুরুপের তাস হবেন কিলিয়ান এমবাপে। গোলের মধ্যে থাকা এই ফরোয়ার্ড এই ম্যাচেও এগিয়ে নেবেন দলকে এমনটাই থাকবে ভক্তদের প্রত্যাশা। অলিভিয়ের জিরুদকেও ধরে রাখতে হবে ফিনিশিং নৈপুণ্য, বার্সেলোনা তারকা দেম্বেলেকেও যোগাতে হবে সমর্থন।

সম্ভাব্য লাইন আপ

ইংল্যান্ড: (৪-৩-৩): জর্ডান পিকফোর্ড (গোলরক্ষক), কাইল ওয়াকার, জন স্টোনস, হ্যারি ম্যাগুয়ার, লুক শ, ডেক্লান রিস, জুড বেলিংহাম, জর্ডান হেন্ডারসন, বুকায়ো সাকা, হ্যারি কেইন ও ফিল ফোডেন।

ফ্রান্স: (৪-২-৩-১) হুগো লরিস (গোলরক্ষক), জুলস কুন্দে, থিও হার্নান্দেজ, রাফায়েল ভারানে, ডাওট উপমেকানো, অরেলিয়েন চুয়ামেনি, আদ্রিয়েন রাবিওট, উসমানে দেম্বেলে, আঁতোয়া গ্রিজম্যান, কিলিয়ান এমবাপে ও অলিভিয়ের জিরুদ

প্রেডিকশন

শক্তির বিচারের খুব একটা পার্থক্য নেই দুই দলের। শেষ ষোলোতে আদিপত্য বিস্তার করে জিতেছে উভয়েই। ফলে পূর্ণ উদ্যম নিয়েই আবারও ঝাঁপিয়ে পড়বে ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স। হতে পারে জমজমাট লড়াইও। খেলা গড়াতে পারে টাইব্রেকারেও। 

সম্ভাব্য স্কোর:

ইংল্যান্ড ২-৩ ফ্রান্স

ম্যাচ ফ্যাক্টস

১. এখন পর্যন্ত ৩১ বার মুখোমুখি হয়েছে ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স। ১৭টি জয় নিয়ে হেড টু হেডে এগিয়ে রয়েছে থ্রি লায়নরাই। ফরাসিরা জিতেছে নয়টিতে। তবে ইংলিশদের ১০টি জয়ই ছিল ১৯৫০ এর আগে। একবিংশ শতাব্দীতে চার হারের বিপরীতে ইংল্যান্ডের জয় মাত্র দুটিতে।

২. বিশ্বকাপে ফরাসীদের বিপক্ষে শতভাগ জয়ের রেকর্ড থ্রি লায়নদের। ১৯৬৬ সালে নিজেদের একমাত্র বিশ্বকাপ জয়ের আসরে ২-০ ব্যবধানে জয় পেয়েছিল ইংল্যান্ড। ফুটবলের মহাযজ্ঞে শেষ দেখা হয়েছিল ১৯৮২ সালে, সেবার ৩-১ ব্যবধানে জিতেছিল ইংলিশরা।

৩. চলতি আসরে চার ম্যাচ খেলে এখন পর্যন্ত ১২ গোল করেছে ইংল্যান্ড। মেজর কোন টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ গোলের কীর্তি এটাই। চার বছর আগে রাশিয়া বিশ্বকাপেও একইসংখ্যক গোল করেছিলেন ইংলিশ ফুটবলাররা, সেবার সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছিল দলটি।

৪. চার ম্যাচে পাঁচ গোল করে কাতার বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছেন এমবাপে। ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলের পর দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপে পাঁচ গোলের কীর্তি গড়েছেন আগেই।

৫. ইংল্যান্ডের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা ওয়েইন রুনিকে (৫৩ গোল) স্পর্শ করতে কেইনের প্রয়োজন মাত্র এক গোল। ৫২ গোল করে সাবেক ইংলিশ অধিনায়কের ঠিক পেছনেই আছেন টটেনহাম হটস্পার তারকা। 

৬. ২০০৬ সালের পর ফ্রান্সই প্রথম শিরোপাধারী হিসেবে পরের আসরের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছানোর কৃতিত্ব দেখাতে পেরেছে। ২০০২ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরবর্তী আসরে শেষ ব্রাজিল গড়তে পেরেছিল এই কীর্তি। ২০১০ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন স্পেন ও ২০১৪ আসরের চ্যাম্পিয়ন জার্মানি পরবর্তী বিশ্বকাপে বাদ পড়েছিল গ্রুপ পর্বেই।

Comments

The Daily Star  | English

Managing expectations the challenge for EC

The EC was a rubber stamp to legalise AL's usurpation of power in last three elections

2h ago