সোনালী ট্রফিটা আর ছুঁয়ে দেখা হলো না সিলভার
বয়সটা হয়ে গেছে ৩৮। পরবর্তী বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। সোনালী ট্রফিটা ছুঁয়ে দেখার একটা শেষ চেষ্টা করতে এসেছিলেন কাতারে, কিন্তু এবারও ভগ্ন হৃদয় নিয়েই দেশে ফিরে যাবেন থিয়াগো সিলভা। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে হেরে আক্ষেপের সাগরে ডুবে বললেন, বিশ্বকাপটা আর উঁচিয়ে ধরা হলো না তার।
শুক্রবার রাতে এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে কাতার বিশ্বকাপের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে ঘটে গেছে আরেকটি অঘটন। পেনাল্টি শুটআউটে ব্রাজিলকে ৪-২ গোলে হারিয়ে দিয়েছে জ্লাতকো দালিচের শিষ্যরা। নির্ধারিত সময় ও অতিরিক্ত সময় মিলিয়ে ১২০ মিনিটেও জয় ছিনিয়ে আনতে পারেনি কোন দল। ১-১ সমতায় থাকা ম্যাচ শেষ পর্যন্ত গড়ায় পেনাল্টিতে, যাতে শেষ হাসি হাসে ক্রোয়েশিয়া।
ম্যাচশেষে ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যম গ্লোবোকে সিলভা বলেন, 'এই মুহূর্তে শব্দ খুঁজে পাওয়া কঠিন। এটা অনেকটা নিজেকে সান্ত্বনা (দেবার মতো)। আমি ইতোমধ্যে আমার জীবনে কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি, কেবল জাতীয় দল নয়, ব্যক্তিগতভাবেও। যখন আমরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ কিছু হারি, যেটা আমাদের লক্ষ্য ছিল, এটা অনেক কষ্ট দেয়। আপনার মাথা উঁচু করার চেষ্টা করে এগিয়ে যাওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই। আমি এমনই একজন মানুষ যে যতোবার পড়ে গেছে উঠে দাঁড়িয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত, একজন খেলোয়াড় হিসেবে আমি এই ট্রফিটা উঁচিয়ে ধরতে পারব না। কে জানে হয়তো পরে অন্য কোন ভূমিকায়।'
ম্যাচটিতে অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধে নেইমারের অসাধারণ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল সেলেসাওরা। কিন্তু ম্যাচ শেষ হওয়ার তিন মিনিট আগে বদলি ব্রুনো পেতকোভিচ ঘুরে দাঁড়িয়ে ক্রোয়েশিয়ার পক্ষে টানেন সমতা। এরপর টাইব্রেকারে স্নায়ুচাপ সামলাতে পারে নি তিতের শিষ্যরা। লিড আদায় করেও ধরে রাখতে না পারার পিছনে নিজেদের মনোযোগের ঘাটতি দেখছেন চেলসি সেন্টার ব্যাক, 'ক্রোয়েশিয়া একটি মানসম্মত দল। আমরা একটু বেশি মনোযোগী থাকতে পারতাম। আমরা এই ধরণের কাউন্টার অ্যাটাক সামলাতে অভ্যস্ত নই।'
স্বপ্ন পূরণ না হলেও সতীর্থদের নিয়ে গর্বিত সিলভা, 'এটা (মেনে নেওয়া) কঠিন। কিন্তু দুঃখ পার করে জীবনে এগিয়ে চলা দরকার। যেটা আমরা করেছি তাতে আমি ছেলেদের নিয়ে খুবই গর্বিত। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এটা ফুটবলেরই অংশ।'
Comments