যদি আমাকে নাচতে হয় আমি নাচব: ব্রাজিল কোচ
দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে গোল দেওয়ার পর মাঠের এক পাশে নেচে উদযাপন করছিলেন ব্রাজিলিয়ান খেলোয়াড়রা। এক পর্যায়ে খেলোয়াড়দের ডেকে নেন কোচ তিতে। সবাইকে অবাক করে দিয়ে তাদের সঙ্গে নাচতে থাকেন তিনি। এমনকি আগামীতেও যদি শিষ্যদের উৎসাহ দিতে নাচতে হয় তাতেও দ্বিধা করবেন না বলেই জানান এ ব্রাজিলিয়ান।
আল রাইয়ানের এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে আগামীকাল বৃহস্পতিবার গতবারের ফাইনালিস্ট ক্রোয়েশিয়ার মুখোমুখি হবে ব্রাজিল। এ ম্যাচের আগে ব্রাজিলিয়ানদের উদযাপন নিয়ে চলছে নানা চর্চা। অনেকেই তাদের নাচকে প্রতিপক্ষের জন্য অসম্মানজনক মনে করছেন। তবে এটাকে নিজেদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি বলে জানান তিতে।
আর ব্রাজিলিয়ান খেলোয়াড়দের নাচ নিয়ে সমালোচনা করছেন তারা দেশটির ইতিহাস এবং সংস্কৃতি সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে জানান এ কোচ, 'এটা আমার জাতীয় দল নয়। এটি ব্রাজিলের জাতীয় দল, যেখানে কোচ হিসাবে আমার দায়িত্ব রয়েছে। আমি তাদের জন্য দুঃখিত যারা ব্রাজিলের ইতিহাস এবং সংস্কৃতি এবং আমাদের থাকার উপায় জানেন না।'
দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে শেষ ষোলোর ম্যাচে দাপট দেখিয়েই জয় তুলে নেয় ব্রাজিল। ৪-১ গোলের জয়ে প্রতিটি গোলে নেচেই উদযাপন করেছেন ব্রাজিলিয়ান খেলোয়াড়রা। তবে দলের তৃতীয় গোলটি করার পর নেইমার–ভিনিসিয়ুসদের সঙ্গে নাচার পর ডাগআউটে এসে আরেক দফা কোচের সঙ্গেও নাচেন রিচার্লিসন।
নাচে পটু না হলেও প্রয়োজনে শিষ্যদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে নাচতে তার কোনো সমস্যা নেই বলেই জানান তিতে, 'আমি ৬১ বছর বয়সী এবং এই খেলোয়াড়রা প্রায় আমার নাতির মতো তবে তাদের সঙ্গে আমার একটা সম্পর্ক রয়েছে। যদি আমাকে নাচতে হয় আমি নাচব, যদিও আমি খুব সূক্ষ্মভাবে করব এবং আমি তাদের আমাকে লুকিয়ে রাখতে বলেছিলাম। এটা আমার পন্থা না।'
খেলোয়াড় আত্মবিশ্বাস জোগাতে সবকিছুই করতে পারেন বলে জানান তিনি, 'এটি ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের এবং যে প্রজন্মের উত্থান হয়েছে তার পরিচয়। আমরা তাদের আত্মবিশ্বাস দেই যাতে তারা এগিয়ে যেতে পারে এবং তাদের সেরাটা দিতে পারে। এগুলো আমাদের খেলোয়াড়দের বৈশিষ্ট্য, কিন্তু সেই চাপের বাইরে এভাবে খেলতে সাহস দরকার।'
Comments