পরিবহন ধর্মঘটে নাকাল পাবনার সাধারণ মানুষ
রাজশাহী বিভাগের অন্যান্য জেলার মতো পাবনাতেও আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছে পরিবহন ধর্মঘট। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীরা।
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার একটি স্কুলের শিক্ষক পাবনা শহরের পুইলানপুর এলাকার বাসিন্দা মুসলিমা খাতুন। প্রতিদিনের মতো সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে গাড়ির অপেক্ষায় থাকলেও গাড়ি না পেয়ে অবশেষে তিনি সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা যোগে প্রায় দ্বিগুণ টাকা খরচ করে স্কুলে যান। কিন্তু তারপরও তিনি নির্ধারিত সময়ে স্কুলে পৌঁছাতে পারেননি।
মুসলিমা বলেন, 'ধর্মঘট হলেও আমাকে তো স্কুলে যেতেই হবে। আমাদের জন্য তো আর ভালো কিছু থাকে না, থাকে শুধু দুর্ভোগ।'
ঢাকার একটি হাসপাতালে কর্মরত পাবনার বাসিন্দা সাইদুল ইসলাম অসুস্থ ছেলেকে দেখতে ছুটি নিয়ে বাড়ি এসেছিলেন। হঠাৎ ধর্মঘট শুরু হয়ে যাওয়ায় তার শনিবারে অফিসে যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে পাবনার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালসহ বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড ঘুরে দেখা গেছে, যানবাহনের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে দূরবর্তী গন্তব্যে যাতায়াতের জন্য শেষ পর্যন্ত ৩ চাকার বাহনের উপরই ভরসা করতে হচ্ছে যাত্রীদের।
পাবনা জেলা মোটর মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক জানান, বলেন, পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ী ১১ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য আজ সকাল থেকে পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে।
পাবনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকার অভিযোগ করেছেন, 'আগামী ৩ ডিসেম্বর বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশে বাধা সৃষ্টি করতেই এই পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। তবে বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে বিএনপির নেতা-কর্মীরা বিভিন্নভাবে ইতোমধ্যেই সমাবেশস্থলে পৌঁছাতে শুরু করেছেন।'
Comments