শেখ হাসিনা ১০ বছর ক্ষমতায় থাকলে বিরক্ত হন কেন, প্রশ্ন পরিকল্পনামন্ত্রীর

রাজধানীর ব্র‍্যাক সেন্টারে ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সমাজের মূল ধারায় একীভূতকরণে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। ছবি: স্টার

বিএনপি ও বিরোধী দলগুলোর প্রতি পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রশ্ন করেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০ বছর ক্ষমতায় থাকলে আপনারা বিরক্ত হন কেন?

তিনি বলেন, 'মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির বিন মোহাম্মদ একটানা ২২ বছর উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন। তখন মাহাথিরকে বাহবা দেওয়া হয়। কিন্তু, যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০ বছর হয় তখন বিরক্ত হয়ে যান। ২ ধরনের মনোভাব কেন?'

আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর ব্র‍্যাক সেন্টারে 'প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সমাজের মূল ধারায় একীভূতকরণে করণীয়' শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচিত হয়ে দেশ চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি নির্বাচিত সরকার। নির্বাচিত সরকারের গুণগান নিয়ে সন্দেহ থাকতে পারে- সমালোচনা করেন, কাগজে লিখে মানুষকে বোঝান। লাঠি নিয়ে দল বেধে বেরিয়ে অমুক তারিখের পরে দেখা যাবে, থাকতে দেব না, দেশ চলবে তাদের কথায় এরকম অন্যায় কথা বললে রাজনীতি করা যাবে না। এতে শুধু রাজনীতি নয় অর্থনীতির ক্ষতি হবে।'

তিনি বলেন, ঘুম থেকে উঠে যদি শুনি রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হবে, রেললাইন উপড়ে দেওয়া হবে, ট্রাক ফুলকপি নিয়ে আসলে ফেলে দিবে, এসব কথা বললে সমাজের উন্নয়ন হবে না।'

আলোচনা সভায় বক্তারা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জীবনমান উন্নয়নে বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি স্বচ্ছতার সঙ্গে বাজেটের বরাদ্দ ব্যবহার করার ব্যাপারে সরকারকে আরও মনযোগী হওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি, জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুহুল আমিন প্রমুখ।

ডিজএ্যাবল্ড রিহ্যাবিলিটেশন অ্যান্ড রিসার্চ এসোসিয়েশনের (ডিআরআরএ) আয়োজনে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ডিআরআরএ নির্বাহী পরিচালক ফরিদা ইয়াসমিন।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

1h ago