পর্তুগাল বনাম উরুগুয়ে: প্রেডিকশন, একাদশ ও অন্যান্য রেকর্ড
ঘানার বিপক্ষে জয় এলেও অনেক ঘাম ঝরিয়ে সেটা আদায় করতে হয়েছে পর্তুগালকে। তবে এর ফলে মনস্তাত্ত্বিকভাবে কিছুটা এগিয়ে থাকবেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোরা। অন্যদিকে কাতার বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত গোলের খাতা খুলতে পারেনি উরুগুয়ে। এই ম্যাচে তাই গোল করার বিকল্প নেই লুইস সুয়ারেজদের। অন্যদিকে পর্তুগিজ রক্ষণকেও মাঠে নামতে হবে গত ম্যাচের ভুল শুধরে। আরেকটি জয় তুলে নিয়ে শেষ ষোলতে এক পা রাখতে সচেষ্ট থাকবে ফার্নান্দো সান্তোসের শিষ্যরা।
ম্যাচের ফলাফল জানা যাবে ম্যাচ শেষেই, তবে তার আগে কাগজে কলমে দুদলের সামর্থ্য ও সাম্প্রতিক ফর্মের আলোকে ভবিষ্যৎবাণী নিয়ে হাজির আমরা। পাশাপাশি দুই দলের সম্ভাব্য একাদশ, ফর্মেশনও তুলে ধরা হলো ডেইলি স্টারের পাঠকদের জন্য-
কখন?
সোমবার, ২৮ নভেম্বর, বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ১টা
কোথায়?
লুসাইল স্টেডিয়াম
নজরে থাকবেন যারা
রোনালদো, জোয়াও ফেলিক্স, ব্রুনো ফার্নান্দেজদের আবারও জ্বলে উঠার অপেক্ষায় থাকবে পর্তুগাল। সঙ্গে বদলী হিসেবে নামলে রাফায়েল লেয়াওকেও রাখতে হবে ভূমিকা। রুবেন ডিয়াস, পেপে, জোয়াও ক্যানসেলোদেরও মর্যাদা রাখতে হবে নিজেদের নাম ও অভিজ্ঞতার। সঙ্গে বার্নার্দো সিলভা, রুবেন নেভেসদেরও নিতে হবে সুযোগ তৈরির গুরুদায়িত্ব। দিয়েগো কস্তাকেও গোলবারে পালন করতে সতর্ক ভূমিকা, হতে হবে দুর্ভেদ্য দেয়াল।
উরুগুয়ের ভালো করতে হলে ফিনিশিংয়ে আরও পটু হতে হবে সুয়ারেজ, ডারউইন নুনেজ, ফাকুন্দো পেলিস্ত্রিদের। রদ্রিকো বেন্তানকুর, ফেদেরিকো ভালভার্দেদেরও মাঝমাঠে পালন করতে হবে নিজেদের দায়িত্ব। ডিফেন্সে হোসে মারিয়া হিমেনেজ, দিয়েগো গদিনদের কোরিয়া ম্যাচের মতোই হতে হবে অপ্রতিরোধ্য।
সম্ভাব্য লাইন আপ
পর্তুগাল: (৪-৩-১-২): কস্তা (গোলরক্ষক), ক্যানসেলো, দিয়াস, পেপে, গেহেইরো, কারভালহো, নেভেস, সিলভা, ফার্নান্দেজ, রোনালদো, ফেলিক্স
উরুগুয়ে: (৪-৩-৩): রোচেত (গোলরক্ষক), কাসেরেস, ভারেলা, গদিন, হিমেনেজ, ভেচিনো, ভালভার্দে, বেন্তানকুর, পেলিস্ত্রি, নুনেজ, সুয়ারেজ।
প্রেডিকশন
শক্তির বিচারে দুই দলই প্রায় সমান। তবে আক্রমণভাগে যারা ভালো করবে জয়ের পাল্লা ভারি থাকবে তাদেরই। সব মিলিয়ে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনাই বেশি।
সম্ভাব্য স্কোর:
পর্তুগাল ২-২ উরুগুয়ে
অন্যান্য পরিসংখ্যান
১) বিশ্বকাপে এই প্রথম মুখোমুখি হচ্ছে পর্তুগাল ও উরুগুয়ে। সব প্রতিযোগিতা মিলে দুই দলের আগের তিন ম্যাচে একটি করে জয় দুই দলেরই। অপরটি ড্র।
২) দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর সাথে সব প্রতিযোগিতায় নিজেদের সর্বশেষ নয়টি লড়াইয়ের মধ্যে মাত্র একটি জিতেছে। ২০১৪ সালে একটি প্রীতি ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে ১-০ গোলে হারিয়েছে তারা। বাকি তিনটি ড্র ও পাঁচটি হার।
৩) উরুগুয়ে তাদের শেষ দুটি বিশ্বকাপ ম্যাচে গোল করতে ব্যর্থ হয়েছে। এরা গে শুধুমাত্র একবার তারা টুর্নামেন্টে টানা তিনটি ম্যাচে (১৯৮৬ এবং ১৯৯০ এর মধ্যে) গোল করতে ব্যর্থ হয়েছিল।
৪) উরুগুয়ে বিশ্বকাপে তাদের শেষ পাঁচটি গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ক্লিনশিট রেখেছে। বিশ্বকাপের ইতিহাসে কোনো দলই টানা ছয়টি গ্রুপ ম্যাচে তা করতে পারেনি।
৫) বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ১৩টি গ্রুপ পর্বের ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটিতে হেরেছে পর্তুগাল। বাকি সাতটি জয় ও পাঁচটিতে ড্র।
Comments