ক্যামেরুন বনাম সার্বিয়া: প্রেডিকশন, একাদশ ও অন্যান্য রেকর্ড
প্রথম ম্যাচ হেরে কিছুটা ব্যাকফুটে আছে দুই দলই। টিকে থাকার মিশনে দুই দলই চাইবে জয় তুলে নিতে। তবে শক্তির বিচারে কিছুটা এগিয়ে রয়েছে সার্বিয়া। তবে 'অঘটনের বিশ্বকাপে' ফেভারিট নয় কেউই।
ম্যাচের ফলাফল জানা যাবে ম্যাচ শেষেই, তবে তার আগে কাগজে কলমে দুদলের সামর্থ্য ও সাম্প্রতিক ফর্মের আলোকে ভবিষ্যৎবাণী নিয়ে হাজির আমরা। পাশাপাশি দুই দলের সম্ভাব্য একাদশ, ফর্মেশনও তুলে ধরা হলো ডেইলি স্টারের পাঠকদের জন্য-
কখন?
সোমবার, ২৮ নভেম্বর, বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টা
কোথায়?
আল জানোব স্টেডিয়াম, আল ওয়াকরাহ
নজরে থাকবেন যারা
এখন পর্যন্ত প্রতিপক্ষের জালে কোন গোল দিতে না পারা সার্বিয়া ফরোয়ার্ডদের জ্বলে ওঠার বিকল্প নেই এই ম্যাচে। দুসান তাদিচ, আলেক্সান্দার মিত্রোভিচ, দুসান ভ্লাহোভিচদের চেনাতে হবে নিজেদের জাত। ডিফেন্সে নিকোলা মিলেনকোভিচদেরও করা চলবে না কোন ভুল।
কার্ল টোকো একামবি, ব্রায়ান এমবেউমো, এরিক ম্যাক্সিম চুপো-মোটিংরা গত ম্যাচের ফিনিশিং দুর্বলতা কাটিয়ে না উঠলে বিদায়ঘণ্টা বেজে জেতে পারে ক্যামেরুনের।
সম্ভাব্য লাইন আপ
সার্বিয়া: (৩-৪-১-২): স্যাভিচ (গোলরক্ষক), মিলেনকোভিচ, পাভলোভিচ, ভেলিকোভিচ, মিলিনকোভিচ-স্যাভিচ, গুদলেই, জিভকোভিচ, ম্লাদেনোভিচ, তাদিচ, ভ্লাহোভিচ, মিত্রোভিচ
ক্যামেরুন: (৪-৩-৩) ওনানা (গোলরক্ষক), ফাই, ক্যাসটেলোট্টো, এনকোলো, টোলো, হংলা, অ্যাঙ্গুইসা, ওন্ডুয়া, এমবেউমো, চুপো-মোটিং, একামবি
প্রেডিকশন
র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে রয়েছে সার্বিয়া। শক্তিমত্তাতেও। তবে ক্যামেরুনও সক্ষম প্রতিপক্ষ রক্ষণে ত্রাস ছড়াতে। তাছাড়া নিজেদের গতি ও স্ট্যামিনার কারণে কিছুটা এগিয়ে থাকতে পারে আফ্রিকানরা।
সম্ভাব্য স্কোর:
ক্যামেরুন ১-১ সার্বিয়া
অন্যান্য পরিসংখ্যান
১) বিশ্বকাপে এই প্রথম মুখোমুখি হচ্ছে সার্বিয়া ও ক্যামেরুন। এর আগে দুই দলের একমাত্র লড়াইয়ে ২০১০ সালে একটি প্রীতি ম্যাচে ক্যামেরুনকে ৪-৩ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছিল সার্বিয়া।
২) আগের বিশ্বকাপের দুটি ম্যাচই আফ্রিকান দলের বিপক্ষে হেরেছে সার্বিয়া। ২০০৬ সালে আইভরি কোস্টের বিপক্ষে (২-৩) এবং ২০১০ সালে ঘানার বিপক্ষে (০-১)।
৩) বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ আটটি ম্যাচ হেরেছে ক্যামেরুন। ২০০২, ২০১০, ২০১৪ এর পর ২০২২ বিশ্বকাপে এ হারগুলো। সার্বিয়ার বিপক্ষে হারলে ১৯৩০ থেকে ১৯৫৮ সালের মধ্যে মেক্সিকোর টানা নয়টি হারের রেকর্ডের সমান হবে।
৪) বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ১০টি ম্যাচের মধ্যে আটটিতে হেরেছে। সেই ম্যাচগুলোর মধ্যে ছয়টিতে কমপক্ষে দুটি গোল হজম করেছে। তবে দুটি জয়ের ম্যাচে ক্লিনশিট রাখতে পেরেছে তারা।
৫) বিশ্বকাপে ইউরোপীয় প্রতিপক্ষের সঙ্গে তাদের ১৫টি ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটি জিতেছে ক্যামেরুন (ড্র পাঁচটি ও নয়টি হার)। ১৯৯০ সালে রোমানিয়ার বিপক্ষে ২-১ গোলে জয় পায় দলটি।
Comments