অবৈধভাবে বালু উত্তোলন নিয়ে ডেইলি স্টারে সংবাদ প্রকাশের পর ম্যাজিস্ট্রেটের স্বপ্রণোদিত মামলা

নাটোরের সিংড়া উপজেলায় শেরকোল ইউনিয়নের ভাগনাগরকান্দি এলাকায় আত্রাই নদী থেকে বালু তোলা হচ্ছে। ছবিটি ২০২২ সালের ২২ অক্টোবর তোলা। ছবি: বুলবুল আহমেদ/স্টার

নাটোরের সিংড়ায় আত্রাই নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ঘটনায় দ্য ডেইলি স্টারে সংবাদ প্রকাশের পর স্বপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করেছেন নাটোরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।

গত ২৩ অক্টোবর দ্য ডেইলি স্টারে 'আত্রাই থেকে অবৈধভাবে বালু তোলার অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে' শিনোরামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর আরও কিছু গণমাধ্যমে একই বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

আজ শুক্রবার নাটোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সাঈদ স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলাটি গ্রহণ করে নাটোরের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেসনের (পিবিআই) বিশেষ পুলিশ সুপারকে তদন্তের নির্দেশ দেন। আগামী ২৭ ডিসেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়ার নির্দেশও দেন আদালত।

একইসঙ্গে সিংড়ার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া অন্য নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হলে তা বন্ধের জন্য প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নাটোরের সিংড়া আমলি আদালতের স্টেনোগ্রাফার আবুল হাসান বলেন, 'দ্য ডেইলি স্টারসহ আরও কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশিত আত্রাই থেকে অবৈধভাবে বালু তোলার সংবাদটি প্রকাশিত হওয়ার পর তা আমলি আদালতের নজরে আসে। সংবাদটি বিশ্লেষণ করে আমলি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এটা স্পষ্ট যে, কোনো ধরনের অনুমোদন ছাড়াই নাটোরে সিংড়ায় আত্রাই নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তুলছেন শেরকোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফুল হাবিব রুবেল।'

তিনি আরও বলেন, 'এই অপরাধের সঙ্গে আরও কারা জড়িত এবং কাদের দ্বারা ও সহযোগিতায় সংঘটিত হচ্ছে তা প্রাথমিক অনুসন্ধানের মাধ্যমে খুঁজে বের করা প্রয়োজন। তদন্তের মাধ্যমে আসামিদের শনাক্তের প্রয়োজন মনে করে তা তদন্তের নির্দেশ দেন ম্যাজিস্ট্রেট। তদন্ত কর্মকর্তাকে তদন্তকালে আসামিদের শনাক্ত, অপরাধ সংগঠনের সুনির্দিষ্ট নিরূপণ, সাক্ষীদের জবানবন্দী, ঘটনাস্থলের খসড়া মানচিত্র ও সূচিপত্র প্রস্তুত করারও আদেশ দেন এই আদালত। পাশাপাশি অবৈধ বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি পাওয়া গেলে তা জব্দ করতে বলেন আদেশে।'

ম্যাজিস্ট্রেট আদেশে উল্লেখ্য করেন, এভাবে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন মহাল ও মাটি স্থাপনা ব্যবস্থাপনা আইন-২০১০ এর ধারা ৪ ও ৫ স্পষ্ট লঙ্ঘন এবং একই আইনের ১৫ ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যার সর্বোচ্চ শাস্তি ২ বছর কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড।

এছাড়া অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করতে গিয়ে আর কোনো আমলযোগ্য অপরাধ সংগঠিত হয়ে থাকলে তাও তদন্তের মাধ্যমে নিরূপণের আদেশ দেওয়া হয়।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নাটোরের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. শরীফ উদ্দিন আহমেদ বলেন, 'আমি ছুটিতে থাকায় আদালতের আদেশের বিষয়ে জানতে পারিনি। তবে, আদেশের কপি হাতে পেলে আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

 

Comments

The Daily Star  | English

US tariff talks: First day ends without major decision

A high-level meeting between Bangladesh and the Office of the United States Trade Representative (USTR) ended in Washington, DC, yesterday without a major decision, despite the looming expiry of a 90-day negotiation window on July 9.

6h ago