বাবা-ছেলে আজেন্টিনা সাপোর্ট করি: চঞ্চল চৌধুরী

ছেলের সঙ্গে চঞ্চল চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

শুরু হয়ে গেছে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা। সারা বিশ্বে বইছে ফুটবলের ঝড়। সেই ছোঁয়া লেগেছে বাংলাদেশেও। বিশেষ করে এদেশে আজেন্টিনা ও ব্রাজিলের সমর্থকই বেশি। শোবিজ তারকারাও ফুটবল উন্মাদনায় মেতেছেন।

দুই বাংলার নন্দিত অভিনয়শিল্পী চঞ্চল চৌধুরী বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা নিয়ে মঙ্গলবার সকালে কথা বলেছেন দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে।

ফুটবল খেলা কতটা প্রিয় আপনার?
চঞ্চল চৌধুরী:
যে কোনো খেলা পছন্দ করি। বেশি পছন্দ করি ফুটবল ও ক্রিকেট। এখন তো ফুটবল বিশ্বকাপ খেলা শুরু হয়েছে। ফুটবল নিয়েই বলি। ছোটবেলা থেকেই ফুটবল খেলা আমার ভীষণ প্রিয়। স্কুলজীবনে অনেক খেলেছি গ্রামের মাঠে। সেই স্মৃতি এখনো চোখে ভাসে। অগেও যেমন এই খেলাটি প্রিয় ছিল, এখনো তেমনি প্রিয় আছে।

বিশ্বকাপ ফুটবলে নানাজন নানা দল সমর্থন করছেন, আপনার প্রিয় দল কোনটি?
চঞ্চল চৌধুরী:
অনেক আগে থেকেই আমি আর্জেন্টিনার সাপোর্টার। মনে পড়ে, ১৯৮৬ সালে চ্যাম্পিয়ন হলো এই দলটি। তখন স্কুলে পড়ি। গ্রামে বিদ্যুৎ নেই। চেয়ারম্যানবাড়িতে গিয়ে এবং আরেকটি বাড়িতে গিয়ে পাড়ার সবাই মিলে খেলা দেখেছি। সাদাকালো টিভিতে দেখা দেখতাম তখন। সেই সময় থেকেই ম্যারাডোনার খেলা পছন্দ করি এবং তার দল আজেন্টিনাকেও সমর্থন করি।

খেলা আপনার কাছে কী?
চঞ্চল চৌধুরী:
খেলা আমার কাছে বিনোদন। খেলা উপভোগ করার বিষয়। আমরা সবাই মিলে খেলাটাকে উপভোগ করতে চাই। কিন্তু বেশি উন্মাদনা কোনো কিছুতেই ভালো নয়। খেলাটা বিনোদন ও উপভোগের মধ্যে রাখা উচিত। এমন কিছু যেন না করি যাতে করে মানুষ খারাপ বলে। সবাই এক দল সাপোর্ট করবেন না এটাও ঠিক। কিন্তু সুন্দরভাবেও এটা করা যায়। তাই বলে তর্ক বিতর্ক, রেষারেষি এসব ঠিক না।

আপনার ছেলে শুদ্ধ কোন দলের সমর্থক?
চঞ্চল চৌধুরী:
শুদ্ধ আজেন্টিনা সমর্থন করে। বাবা-ছেলে আজেন্টিনা সাপোর্ট করি। এই বিষয়টিও আমি উপভোগ করি। দুজনে মিলে খেলা দেখি। ভালোই লাগে।

আপনি কি মনে করে আজেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হবে?
চঞ্চল চৌধুরী:
এটা কেউ বলতে পারবে না। যেসব দল বিশ্বকাপ খেলতে আসে, তারা বাছাই পর্ব সেরে এবং ভালো খেলেই আসে। সবাই চায় সেরা খেলা উপহার দিতে। আমি চাই প্রিয় দল চ্যাম্পিয়ন হোক। কিন্ত কার ভাগ্যে আছে তা তো বলা সম্ভব নয়। সেজন্য বলব, সবচেয়ে সেরা যারা খেলবে তারা বিজয়ী হবে।
প্রিয় দলের প্রথম খেলা আজ, দেখবেন নিশ্চয়ই?
চঞ্চল চৌধুরী:
আমি শুটিং করছি। ইচ্ছে তো আছে দেখার। কিন্তু শুটিংয়ের জন্য পারবো কিনা এখনো জানি না। চরকির ব্যানারে নতুন একটি ওয়েব সিরিজে অভিনয় করছি। দেখা যাক, সময় করতে পারলে খেলাটা দেখার চেষ্টা করবো।

Comments

The Daily Star  | English

Teknaf customs in limbo as 19 mt of rice, authorised by AA, reaches port

The consignment of rice weighing 19 metric tonnes arrived at Teknaf land port on Tuesday evening with the documents sealed and signed by the Arakan Army

3h ago