নান্দাইলে ৩ হাজার ফুট লম্বা আর্জেন্টিনার পতাকা

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা অটোরিকশা ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছে এই পতাকা। ছবি: সংগৃহীত

কাতার বিশ্বকাপের উন্মাদনা ছড়িয়ে পড়েছে ফুটবল প্রেমীদের মাঝে। শুরু হয়েছে দেশজুড়ে নিজের পছন্দের দলের পতাকা উড়ানোর প্রতিযোগিতা। পিছিয়ে নেই ময়মনসিংহের সমর্থকরাও।

ময়মনসিংহের নান্দাইলে ৩ হাজার ফুট লম্বা পতাকা টাঙিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছেন আর্জেন্টিনার সমর্থকরা।

গত রোববার থেকে বুধবার বিকেল পর্যন্ত ৩ দিনে ময়মনসিংহ কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের নান্দাইল চৌরাস্তা বাজার থেকে নান্দাইল রোড রেলওয়ে স্টেশন থেকে ১ কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে বিশাল আকৃতির এই পতাকা টাঙানো হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা অটোরিকশা ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে আল আমিন, আশিক ভূঁইয়া, এমদাদুল হক বাচন, হাফিজুল ইসলাম হাফিজ ও ফাহিম ভূঁইয়ারা এই পতাকা তৈরি করেছেন। শুধু পতাকা টাঙানোই নয়, সমিতির উদ্যোগে ফুটবল প্রেমীদের বড় পর্দার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে নান্দাইলবাসী বিশ্বকাপের সবকটি ফুটবল ম্যাচ দেখতে পারেন।

উদ্যোক্তা আল আমিন জানান, নান্দাইল রোড বাজারের আব্দুল মতিনের টেইলার্সের দোকানে ৬ দিনে ১ হাজার ৫০০ গজ কাপড় দিয়ে ৩ হাজার ফুট লম্বা পতাকা তৈরি করা হয়। সব মিলিয়ে পতাকা তৈরি করতে আনুমানিক ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।

পতাকা দেখতে আসা কৃষক শামছুল মিয়া জানান, এত বড় পতাকা নান্দাইলে আগে আর তৈরি হয়েছে বলে আমার জানা নেই।

বিশাল পতাকা টাঙানো হয়েছে শুনেই দেখতে আসা মো রিয়াজ জানান, এত বড় পতাকা দেখে ভাল লাগছে।

উদ্যোক্তা আশিক ভূঁইয়া বলেন, ছোটবেলা থেকেই আর্জেন্টিনা দল সমর্থন করি। ফেসবুকে, টিভিতে অনেক বড় বড় পতাকা বানানো দেখেছি। গত বিশ্বকাপ থেকে আমাদের পরিকল্পনা ছিল আমরাও বিশাল একটি পতাকা তৈরি করবো৷ আর্জেন্টিনা দলের প্রতি আমাদের ভালোবাসা থেকেই পতাকা তৈরি করা। আমরা আশাবাদী এবার আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জিতবে৷

পতাকা সেলাইয়ের কারিগর আব্দুল মতিন জানান, তিনি ও তার স্ত্রী ৬ দিনে পতাকাটি সেলাই করেছেন। তারা আগে কখনো এত বড় পতাকা সেলাই করেননি৷ আর্জেন্টিনা দলকে ভালোবাসি বিধায় আগ্রহ নিয়ে পতাকাটা সেলাই করেছি। পারিশ্রমিক যাই দেয় তাই নেবেন বলে জানান, আব্দুল মতিন ।  

Comments

The Daily Star  | English

Bangladeshis worry amid US immigration crackdown

The United States has deported at least 31 Bangladeshis after President Donald Trump took a tough immigration policy.

4h ago