রোনালদো-ব্রুনোর ‘মজার মুহূর্তের ভুল ব্যাখ্যা হচ্ছে’ 

ছবি: ভিডিও থেকে

ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ও  ব্রুনো ফার্নান্দেস জাতীয় দলের পাশাপাশি ক্লাবেও সতীর্থ। তবে দুজনের মধ্যে শীতল সম্পর্ক চলছে বলে জোর গুঞ্জন। পর্তুগালের অনুশীলনে দেখা হওয়ার পর দুজনের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। যা দেখে দুজনের মধ্যে যথেষ্ট আন্তরিকতা নেই বলে ব্যাখ্যা দাঁড় করান অনেকে। দলের হয়ে কথা বলতে এসে মিডফিল্ডার জোয়াও মারিও অবশ্য এরকম গুঞ্জন উড়িয়ে দিলেন। জানালেন তখন রোনালদো-ব্রুনোর মাঝে রসিকতা সুরেই আলাপ হচ্ছিল।  

ভিডিওতে দেখা যায় হাসিমুখে ড্রেসিংরুমে ঢুকে একজনের সঙ্গে হাত মেলালেন ব্রুনো। তখন পাশেই দাঁড়ানো তার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড সতীর্থ রোনালদো। অন্য দিকে তাকিয়ে রোনালদোর বাহুতে হাত রাখেন ব্রুনো। রোনালদো হাত বাড়িয়ে দেন করমর্দন করতে। ব্রুনোর তখন ব্যস্ত ব্যাগ রাখার জন্য। ব্যাগ রেখে  তার চোখের দিকে না তাকিয়ে হাত মিলিয়ে ঘুরে যান দ্রুত। রোনালদো ঠায় দাঁড়িয়েছিলেন। ব্রুনোকে খানিক পর ঘুরে কিছু একটা বলতে দেখা যায়।

লিসবনে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে হেসেই উড়িয়ে দিয়ে মারিও জানান আসলে কী হয়েছিল,  'ওখানে আমি ছিলাম, ওটা ছিল মজার মুহূর্ত। যেটা বাইরে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। পুরো বিষয়টাই ছিল মজার। ব্রুনো দেরিতে এসেছিল, সে ছিল একাবারের শেষ দিকে আসাদের একজন। রোনালদো তাকে দেখে জিজ্ঞেস করেছিল, ব্রুনো কি নৌকায় করে এসেছে?'

'ছোট ভিডিও দেখে অনেকভাবে ভুল অর্থ তৈরি করানো যায়। কিন্তু তাদের মধ্যে এটি ছিল স্রেফ মজা। দুজনের সম্পর্ক খুব ভালো, ক্লাবেও তারা একসঙ্গে খেলে। আমি তাদের গতকাল পুরো দিনই দেখেছি, কোন সমস্যা নেই।'

সম্প্রতি ফুটবল ব্রডকাস্টার পিয়ার্স মর্গ্যানকে দেওয়া রোনালদোর একটি সাক্ষাৎকার নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা। সাক্ষাতকারে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ক্লাবের হর্তাকর্তা, কোচ টেন হাগের তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। ক্লাব কর্তৃপক্ষ তার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে বলেও অভিযোগ করেন পাঁচ বারের ব্যালন ডি'অর জয়ী ফুটবলার। এই সাক্ষাতকারের পর ক্লাব সতীর্থ ব্রুনোর সঙ্গে রোনালদোর সম্পর্কের অবনতির ডালপালা আরও প্রসারিত হয়ে যায়।

এবার রোনালদোর অধীনেই বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছে পর্তুগাল। ২৪ নভেম্বর ঘানার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে তাদের বিশ্বকাপ অভিযান।

Comments

The Daily Star  | English

Ending impunity for crimes against journalists

Though the signals are mixed we still hope that the media in Bangladesh will see a new dawn.

10h ago