ইলিয়াস কাঞ্চনের পরিবর্তে রাজীব নায়ক হলেন: কাজী হায়াৎ

রাজীব
ওয়াসীমুল বারী রাজীব। ছবি: সংগৃহীত

শক্তিশালী অভিনেতা ছিলেন রাজীব। শব্দের স্পষ্ট উচ্চারণ আর বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর অন্যদের থেকে তাকে আলাদা করেছিল। নায়ক হিসেবে অভিষেক হয়ে ভিলেন হিসেবে খ্যাতি পেয়েছিলেন তিনি।

কাজী হায়াৎ পরিচালিত 'দাঙ্গা' সিনেমায় খলনায়কের অভিনয় করে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছিলেন রাজীব। এই সিনেমার 'আমি মাইন্ড করলাম' সংলাপ ছড়িয়ে পড়ে দর্শকদের মধ্যে।

৪ বার জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা ওয়াসীমুল বারী রাজীব বেঁচে নেই ১৮ বছর। ২০০৪ সালের ১৪ নভেম্বর ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি।

ঢাকাই চলচ্চিত্রের দর্শকদের স্মৃতিতে আজও অম্লান এই অভিনেতা।

রাজীব সম্পর্কে পরিচালক কাজী হায়াৎ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অভিনেতা ও রাজনীতিবিদ হিসেবে রাজীব অনন্য ছিলেন। আমার পরিচালিত "খোকন সোনা" সিনেমায় প্রথম নায়ক হিসেবে অভিনয় করেছিলেন। এর আগে "রাখে আল্লাহ মারে কে" সিনেমায় ছোট চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি।'

'খোকন সোনা'য় নায়ক হিসেবে প্রথমে ইলিয়াস কাঞ্চনের অভিনয় করার কথা ছিল বলে জানান কাজী হায়াৎ। বলেন, 'আমার সঙ্গে পরিচয়ের পর রাজীবের অনুরোধে তাকে নায়ক হিসেবে নিয়েছিলাম। অভিনেতা হিসেবে ছিলেন বেশ শক্তিশালী। মানুষ হিসেবে ছিলেন ভীষণ অমায়িক। আমার পরিচালিত অনেক সিনেমায় রাজীবের অনবদ্য অভিনয় দর্শক দীর্ঘদিন মনে রাখবে।'

১৯৮২ সালে কাজী হায়াতের 'খোকন সোনা' সিনেমায় অভিনয়ের পর প্রায় ২ শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন রাজীব। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে আছে 'দাঙ্গা', 'হাঙর নদী গ্রেনেড', 'প্রেম পিয়াসী', 'সত্যের মৃত্যু নেই', 'স্বপ্নের পৃথিবী', 'আজকের সন্ত্রাসী', 'দুর্জয়', 'দেনমোহর', 'স্বপ্নের ঠিকানা', 'মহামিলন', 'বাবার আদেশ', 'বিক্ষোভ', 'ডন', 'কেয়ামত থেকে কেয়ামত', 'ভাত দে', 'অনন্ত ভালোবাসা', 'বুকের ভেতর আগুন' ও 'সাহসী মানুষ চাই'।

অভিনয়ের বাইরে রাজীব বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএফডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

Yunus begins meeting political leaders to discuss pressing issues

Yunus is scheduled to hold another meeting with leaders of different Islamist parties after this

38m ago