পূর্বানুমতি ছাড়াই সরকারি কর্মচারী গ্রেপ্তার: আপিল করতে পারবে সরকার

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

সরকারি কর্মচারীদের গ্রেপ্তারে কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি নেওয়ার যে বিধান বাতিল করেছিলেন হাইকোর্ট, সেই রায়ের বিরুদ্ধে সরকারকে আপিল করার অনুমতি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

একইসঙ্গে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়িয়েছেন শীর্ষ আদালত।

আপিল বিভাগের এই আদেশের অর্থ হলো, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ফৌজদারি মামলায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গ্রেপ্তার করতে পারবে না।

আজ রোববার হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সরকারের দায়ের করা লিভ টু আপিল আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

বেঞ্চের অন্য বিচারপতিরা হলেন বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান; বিচারপতি ওবায়দুল হাসান; বিচারপতি বোরহানউদ্দিন ও বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিম।

এর আগে গত ১ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায়ের ওপর আজ রোববার পর্যন্ত স্থগিতাদেশ জারি করে এই রায়ের বিরুদ্ধে সরকারকে লিভ টু আপিল আবেদন দাখিল করতে বলেন।

তারও আগে ২৫ আগস্ট সরকারি কর্মচারীদের গ্রেপ্তারে কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি নেওয়ার বিধানসংক্রান্ত সরকারি চাকরি আইনের ৪১ (১) ধারা সংবিধানের কয়েকটি অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে বাতিল ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

২০১৮ সালের নভেম্বরে সরকারি চাকরি আইন প্রণয়ন করা হয়। ২০১৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে একই বছরের ১ অক্টোবর থেকে আইনটি কার্যকর হয়।

এ অবস্থায় সরকারি কর্মচারীদের বিশেষ সুবিধাসংক্রান্ত আইনের ৪১ (১) ধারাটি সংবিধানের কয়েকটি অনুচ্ছেদের পরিপন্থী উল্লেখ করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে ২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়।

রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল দেন। রুলে সরকারি চাকরি আইনের ৪১ (১) ধারাটি কেন সংবিধানের কয়েকটি অনুচ্ছেদের পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

18h ago