৩ জেলা পরিষদ নির্বাচনে আ. লীগের পরাজয়ের কারণ ২ মন্ত্রী, ৩ এমপি

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল
প্রতীকী ছবি

জেলা পরিষদ নির্বাচনে দুই জন মন্ত্রী, তিন জন সংসদ সদস্য এবং আওয়ামী লীগের একজন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যের বিরুদ্ধে দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থীদের সমর্থন করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এর ফলে তিন জন আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী পরাজিত হয়েছেন।

সূত্র জানায়, গত শুক্রবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক প্রতিবেদনে দুই আইনপ্রণেতা ও একজন মন্ত্রীর নাম উঠে এসেছে।

দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে সভায় সভাপতিত্ব করেন।

ঢাকা বিভাগের দায়িত্বে থাকা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম নরসিংদী ও ফরিদপুরে দলীয় সমর্থিত প্রার্থীদের পরাজয়ের জন্য তিন জন সংসদ সদস্য ও একজন মন্ত্রীকে দায়ী করে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন। সভায় উপস্থিত থাকা সূত্র দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সূত্র জানিয়েছে, প্রতিবেদনে বলা হয়, নরসিংদী-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, নরসিংদী-৫ আসনের সংসদ সদস্য রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু ও নরসিংদী-১ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম নরসিংদী জেলা পরিষদ নির্বাচনে আব্দুল মতিন ভূঁইয়ার পরাজয়ের জন্য দায়ী।

এদিকে সুনামগঞ্জ ও ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের পরাজয়ের বিষয়টিও উঠে আসে সভায়।

সূত্র জানায়, সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানকে দলের ভিন্নমতাবলম্বী নুরুল হুদা মুকুটকে সমর্থন করার জন্য দায়ী করা হয়। আর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আজিজুস সামাদ আজাদ ডনের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয় থাকার অভিযোগ আনা হয়।

নির্বাচনে, মুকুট সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খাইরুল কবির রুমেনকে পরাজিত করেন। রুমেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল কবীর ইমনের বড় ভাই। এর আগে মুকুট ২০১৬ সালে প্রথম জেলা পরিষদ নির্বাচনে ইমনকেও পরাজিত করেছিলেন।

সভায় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মজিবুর রহমান নিক্সনকে ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের পরাজয়ের জন্য দায়ী করা হয়।

তিনি কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা শাহাদাত হোসেনকে সেখানে চেয়ারম্যান পদের জন্য সমর্থন দেন। শাহাদাত আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফারুক হোসেনকে পরাজিত করেন।

সভায় কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরা বিদ্রোহীদের সমর্থন করার জন্য দলের কয়েকজন নেতাকে তিরস্কার করেন এবং এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতির নির্দেশনা চান।

সূত্র মতে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে এতদিন নীরব ছিলেন।

জেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা ১১টি জেলায় পরাজিত হয়েছেন। গত ১৭ অক্টোবর এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগ ৬১টি জেলার মধ্যে ৪৮টিতে জয়লাভ করে। তাদের মধ্যে ২৭ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

অনুবাদ করেছেন সুমন আলী

Comments

The Daily Star  | English

Consensus key to reforms, election

Chief Adviser Muhammad Yunus yesterday said reforms without consensus and elections without reforms would not be able to take Bangladesh forward.

7h ago