কৃত্রিম হাতে লুকিয়ে মাদক বিক্রি করতেন তিনি

ছবি: সংগৃহীত

এক সপ্তাহ আগে দ্বিতীয় বিয়ে করেন রাজধানীর মিরপুর এলাকার বাসিন্দা রানা হাওলাদার (২৬)। গতকাল তিনি স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছিলেন। সে সময় পুলিশ তাকে ১৫৫ পিস ইয়াবাসহ আটক করে। কৃত্রিম হাতের ভেতরে লুকিয়ে রানা মাদক বিক্রি করতেন।

আজ বুধবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার এইচ এম আজিমুল হক তার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রানা পুলিশকে জানিয়েছেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীতের অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার বাম হাতের কনুই পর্যন্ত কেটে ফেলতে হয়।

ছবি: সংগৃহীত

আজিম জানান, রানা ৭-৮ বছর ধরে মাদক চোরাকারবারে জড়িত। এক সময় তার পেশা ছিল সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালানো কিন্তু এটা তার মূল পেশা ছিল না। তিনি আসলে বিভিন্ন জায়গায় মাদক সাপ্লাই দিতেন।

গতকাল রাতে রাজধানীর পশ্চিম রামপুরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা পুলিশ রানাকে আটক করে, জানান আজিম।

তিনি বলেন, শারীরিক প্রতিবন্ধী, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষের মাধ্যমে একটি চক্র মাদক বিক্রি করছে এমন তথ্য আমাদের কাছে বেশ কিছু দিন আগে এসেছিল। বিষয়টি সেন্সিটিভ, কোনো তথ্য-প্রমাণ ছাড়া তাদের ধরা, এটা নিয়ে কাজ করা খুবই কঠিন ছিল। তদন্তের এক পর্যায়ে আমরা জানতে পারি, শহরের বিনোদন কেন্দ্রগুলো এবং যেখানে জনগণের প্রচুর সমাগম রয়েছে সেসব জায়গায় যারা ভিক্ষাবৃত্তি করে বা ছোটখাটো কাজে যারা জড়িত তাদের মাধ্যমে একটি চক্র ইয়াবা কিংবা ছোট আকারের মাদক ডেলিভারি দেয়।

সেই সূত্র ধরে গতকাল আমরা রানাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। রানা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষ, তার একটি হাত কাটা। তার কৃত্রিম হাত রয়েছে। সাধারণভাবে দেখে মনে হয় না হাতটি নকল। কৃত্রিম হাতের ভেতরে পুরোটায় তিনি মাদক বহন করতে পারতেন। এভাবে তিনি বিভিন্ন জায়াগায়, বিনোদন কেন্দ্রে তিনি মাদক সরবরাহ করতেন, বলেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

আজিম আরও বলেন, গতকাল রানা তার স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছিলেন। তার স্ত্রী জানতেন, স্বামী তাকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছেন। কিন্তু রানা বিভিন্ন জায়গায় মাদক ডেলিভারির কাজ করছিলেন। যদিও তার কাছে পাওয়া মাদকের পরিমাণ বেশি না, তবে নতুন কৌশল সম্পর্কে আমরা জানাতে চাই, শরীরিক প্রতিবন্ধীরা ব্যবহৃত হচ্ছে এই মাদক চক্রের হাতে।

তিনি বলেন, ভিক্ষাবৃত্তি যত বাড়বে, মাদক থেকে শুরু করে বিভিন্ন অপরাধ তাদের মাধ্যমে সংক্রমিত করা হবে সমাজে। ভিক্ষুকদের প্রতি সব সময় আমাদের সমবেদনা রয়েছে। সেটার মাত্রা যেন খুব বেশি না হয়। তাদের প্রতিও নজর রাখতে হবে, কারণ তাদের ব্যবহার করে কিছু মানুষ মাদকের সম্প্রসারণ করতে চাচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

12h ago