১৯ বছর ছদ্মবেশে পালিয়ে থাকার পর ফাঁসির আসামি ধরা

শিশুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় সুজন ওরফে মো. নিজামুল হককে (৩৮)। ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় ১০ বছরের শিশুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল আসামি সুজন ওরফে মো. নিজামুল হককে (৩৮)। কিন্তু হত্যার ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন তিনি।

ছদ্মবেশ নিয়ে দীর্ঘ ১৯ বছর আত্মগোপনে ছিলেন। এর মধ্যে ভুয়া নামে পাসপোর্ট তৈরি করে ২ বার বিদেশ গিয়েছেন, চাকরি করেছেন নিজ এলাকাতেও। কিন্তু ধরা পড়েননি।  

তবে শেষ রক্ষা হয়নি তার। গতকাল রোববার রাতে ঢাকার বাড্ডায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। 

আজ সোমবার দুপুরে এই তথ্য জানান র‌্যাব-১১ এর মিডিয়া অফিসার এএসপি রিজওয়ান সাঈদ জিকু।

র‌্যাব জানায়, ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার পর সুজন প্রথমে দেশের বিভিন্ন জেলায় আত্মগোপন করে ছিলেন। দীর্ঘদিন পর নারায়ণগঞ্জে ফেরত গিয়ে পরিচয় গোপন করে একটি কাপড়ের দোকানে চাকরি করা শুরু করেন। নিজের নাম ও বয়স পরিবর্তন করে ২০১৪ সালে পাসপোর্ট ও ২০১৬ সালে জাতীয় পরিচয়পত্রও তৈরি করেন তিনি।

নারায়ণগঞ্জে অনেক দিন চাকরি করার পর ২০১৭ সালে তিনি ইরাকে যান এবং ২০২১ সালে দেশে ফেরত আসেন। দেশে তিনি জমি সংক্রান্ত ব্যবসা শুরু করেন। পরে ২০২২ সালের মার্চ মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাত যান। কিন্তু সেখানে কাজে সুবিধা করতে না পেরে ৩ মাস পর দেশে ফেরত আসেন। আবারও আগের মতো ছদ্মবেশে চলতে থাকেন। গত ১১ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ সদর থানার কাছ থেকে অনুরোধ পেয়ে তাকে ধরতে ছায়াতদন্ত শুরু করে র‌্যাব। গতকাল তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।  

২০০৩ সালের ১৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ সদর থানার আলীরটেক এলাকায় ১০ বছরের এক শিশুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় শিশুর ভাই নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। বিচার শেষে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৮ সালের ১১ জুন আদালত সুজনসহ ৪ আসামির ফাঁসির রায় দেন। 

Comments

The Daily Star  | English
Anti-Discrimination Students Movement

Students to launch political party by next February

Anti-Discrimination Student Movement and Jatiya Nagorik Committee will jointly lead the process

9h ago