ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: পটুয়াখালীর ৬ উপজেলায় নেই বিদ্যুৎ, মোবাইল নেটওয়ার্কে ধীরগতি

পটুয়াখালী সংলগ্ন বঙ্গোপাসাগর উত্তাল হয়ে উঠছে। ছবি: স্টার

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে পটুয়াখালীর বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও পল্লী বিদ্যুতের আওতাধীন ৮ উপজেলার মধ্যে ৬টিতে বিদ্যুৎ নেই। বাকি ২ উপজেলার অধিকাংশ জায়গাতেও নেই বিদ্যুৎ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার বশির আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ঝড়ো বাতাস ও ভারী বর্ষণ এবং গ্রামাঞ্চলের গাছপালা উপড়ে পড়ার কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে।

বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকার কারণে জেলার অধিকাংশ এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্কে ধীরগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে।

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার সংবাদকর্মী ইমরান হোসেন জানান, সকাল থেকেই মোবাইল নেটওয়ার্কের গতি ধীর।

পটুয়াখালী সদর উপজেলার বাদুরা গ্রামের জাহাঙ্গীর মৃধা বলেন, 'রাত থেকেই বিদ্যুৎ না থাকায় অনেকের মোবাইলে চার্জ শেষ হয়ে গেছে। তা ছাড়া বিদ্যুৎ না থাকায় টিভিও দেখা যাচ্ছে না। এতে ঝড়ের খবরও পাচ্ছি না।'

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় জেলায় ৭০৩টি সাইক্লোন শেল্টার, ২৬টি মুজিব কিল্লা, ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, ওষুধ ও মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া, জেলায় উদ্ধারকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে জানিয়ে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র দেবনাথ বলেন, 'জেলার ৮ উপজেলায় নগদ ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা, ২৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি উপজেলা ও জেলায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।'

ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় গতকাল বিকেলে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন জানান, জেলার ৭০৩টি সাইক্লোন শেল্টার ও ব্যবহারযোগ্য ২৬টি মুজিব কিল্লা বিদ্যুৎ ও সুপেয় পানিসহ প্রস্তুত রাখা, প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে মেডিকেল টিম গঠন, দরকারি ওষুধের ব্যবস্থা রাখা, পর্যাপ্ত শুকনো খাবার সংগ্রহ, অরক্ষিত ও দুর্বল বেড়িবাঁধ জরুরি মেরামত, সব মানুষের কাছে সতর্কবার্তা পৌঁছে দিয়ে তাদেরকে সতর্ক করা, উদ্ধারকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত রাখা, জরুরি সড়ক মেরামত, প্রতিটি উপজেলা ও জেলায় নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা রাখার জন্য বিভিন্ন দপ্তর প্রধানকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে বিদ্যুৎ বিভাগকে পর্যাপ্ত লোকবলসহ ক্ষয়-ক্ষতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

4 years could be maximum one can go before election: Yunus tells Al Jazeera

Says govt's intention is to hold election as early as possible

36m ago