পারমাণবিক সাবমেরিন থেকে সফলভাবে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ভারতের

পারমাণবিক শক্তিচালিত ডুবোজাহাজ আইএনএস অরিহন্ত থেকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে ভারতের নৌবাহিনী। ছবি: সংগৃহীত

ভারতে তৈরি প্রথম পারমাণবিক শক্তিচালিত ডুবোজাহাজ আইএনএস অরিহন্ত থেকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে দেশটির নৌবাহিনী।

ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা সফল দাবি করে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ১৪ অক্টোবর বঙ্গোপসাগরের গভীরে আইএনএস অরিহন্ত থেকে ছোড়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিখুঁতভাবে লক্ষ্যভেদ করেছে।

এই ক্ষেপণাস্ত্র পারমাণবিক অস্ত্র বহন করতে সক্ষম।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার বরাতে আল জাজিরা জানায়, এর আগে পাঁচটি দেশের কাছে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বহনকারী পারমাণবিক শক্তি চালিত সাবমেরিন ছিল। চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের পর এই তালিকায় ভারতের নাম যুক্ত হলো।

গত সেপ্টেম্বরে, ভারত তার প্রথম স্থানীয়ভাবে তৈরি বিমানবাহী রণতরী আইএনএস ভিক্রান্ত উদ্বোধন করে। তখন একে এই অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক শক্তি মোকাবিলায় একটি মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছিল। এই রণতরী নির্মাণ ও পরীক্ষানিরীক্ষায় ১৭ বছর সময় লেগেছে। ২৬২ মিটার দীর্ঘ এই যুদ্ধজাহাজ বিশ্বের সবচেয়ে বড় রণতরীগুলোর মধ্যে অন্যতম।

সম্প্রতি নরেন্দ্র মোদির সরকার ভারতে তৈরি অ্যাটাক হেলিকপ্টার উদ্বোধন করেছে। এই হেলিকপ্টারগুলো হিমালয়ের মতো উঁচু এলাকায় ব্যবহার উপযোগী। ২০২০ সালে এরকম উঁচু এলাকায় চীনা সেনাদের সঙ্গে ভারতীয় বাহিনীর সংঘর্ষ বেঁধেছিল।

ভারত বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম অস্ত্র আমদানিকারক দেশ। অস্ত্রের জন্য দেশটি ঐতিহাসিকভাবে রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল। এই নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে এসে ভারত এখন সামরিক সরঞ্জামে স্বনির্ভর হওয়ার চেষ্টা করছে।

টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ভারতের প্রথম তৈরি পারমাণবিক সাবমেরিন আইএনএস অরিহন্ত ২০০৯ সালে সামরিক বাহিনীতে প্রবেশ করে। তখন থেকে ভারত সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য দুটি সারফেস-টু-সার্ফেস ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে। এর মধ্যে একটির পাল্লা প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কিলোমিটার।

Comments

The Daily Star  | English

Sweeping changes in constitution

Expanding the fundamental rights to include food, clothing, shelter, education, internet and vote, the Constitution Reform Commission proposes to replace nationalism, socialism and secularism with equality, human dignity, social justice and pluralism as fundamental principles of state policy.

35m ago