‘এই নদী শব্দ ক’রে হৃদয়ে বিস্ময় আনিতে পারে না আর’

ছবি: হাবিবুর রহমান/স্টার

নিসর্গের কবি জীবনানন্দ দাশ তার 'নদীরা' শিরোনামের কবিতায় লিখেছিলেন, 'নদী কেন বেঁচে থাকে?– একদিন এই নদী শব্দ ক'রে হৃদয়ে বিস্ময়/আনিতে পারে না আর;- মানুষের মন থেকে নদীরা হারায়- শেষ হয়।'

খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার ভেতর দিয়ে বয়ে চলা শোলমারি নদীটির এমন করুণ অবস্থা ছিল না কিছুদিন আগেও। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এই অঞ্চলে রূপসা রেলওয়ে সেতু নির্মাণের আগ পর্যন্ত নদীটিতে মোটামুটি স্রোত ছিল।

দখল-দূষণসহ অপরিকল্পিত উন্নয়নের কারণে এক সময়কার দেড়শ মিটার প্রশস্ত শোলমারি কালের পরিক্রমায় পরিণত হয়েছে ৩-৪ মিটারের সরু নালায়। ভাটায় এখন সেখানে নৌকা চালানো যায় না। হেঁটেই পার হয় মানুষ।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নথি অনুসারে, শোলমারি নদীর দৈর্ঘ্য ২৯ কিলোমিটার। বটিয়াঘাটা উপজেলার কাজীবাছা নদী থেকে শোলমারি নদীর উৎপত্তি। বিল ডাকাতিয়ার পূর্ব প্রান্ত থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে ডুমুরিয়ার গুটুদিয়া ও পঞ্চুর মধ্য দিয়ে এটি সালতা নদীর সঙ্গে মিশেছে। এরপর আবার জলমার কাছে কাজীবাছা নদীতে মিলিত হয়েছে।

ডুমুরিয়া ও বটিয়াঘাটা উপজেলার অন্তত ৫০টি গ্রামসহ বিল ডাকাতিয়া, গুটুদিয়া, পঞ্চ ও জলমা এলাকার পানি এই শোলমারি নদী দিয়েই নিষ্কাসিত হয়। স্থানীয়দের আশঙ্কা, নদীটি না থাকলে এই বিস্তীর্ন অঞ্চলজুড়ে স্থায়ী জলাবদ্ধতার সমস্যা তৈরি হতে পারে।

সম্প্রতি প্রাণ হারাতে বসা ক্ষীণকায় শোলমারির ছবিটি তুলেছেন দ্য ডেইলি স্টারের আলোকচিত্রী হাবিবুর রহমান

Comments

The Daily Star  | English

JnU protests called off

Students and teachers of Jagannath University called off their protest last night after receiving assurances from the government that their demands would be met.

2h ago