‘উৎপাদন বাড়াতে হবে, বাংলাদেশ যেন দুর্ভিক্ষকবলিত না হয়’

pm.jpg
ছবি: সংগৃহীত

বৈশ্বিক মন্দা পরিস্থিতির প্রভাব মোকাবিলায় সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে সাভার সেনানিবাস সদর দপ্তরে সিএমপি সেন্টার অ্যান্ড স্কুলে ৭১ মেকানাইজড ব্রিগেড, ১৫ ই বেঙ্গল, ৪০ ই বেঙ্গল, ৯ বীর এবং ১১ বীর মেকানাইজডের উত্তোলন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার গঠন করার পর থেকে আমার প্রচেষ্টা ছিল এবং '৮১ সালে ফিরে এসে বারবার সশস্ত্র বাহিনীতে ক্যু হচ্ছিল তার প্রতিবাদও আমি শুরু করি। ৭ জুন প্রথম বক্তব্যের মধ্যে আমি বলেছিলাম, আমি সশস্ত্র বাহিনীতে আর কোনো ছেলেহারা মা, সন্তানহারা পিতার কান্না শুনতে চাই না। পিতাহারা সন্তানের আহাজারি শুনতে চাই না। কোনো বিধবা দেখতে চাই না। সংঘাত না, শান্তিপূর্ণভাবে সবাইকে এক হয়ে চলতে হবে। দেশ গড়ার কাজে মনোনিবেশ করতে হবে। আমার প্রচেষ্টা এটাই ছিল; দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনা, আর্থ-সামাজিক উন্নতি করা। সেই সঙ্গে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করা।

সশস্ত্র বাহিনীকে শক্তিশালী করতে আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগের তথ্য এ সময় তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

সেনা সদস্যদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পতাকার মর্যাদা সব সময় সমুন্নত রাখতে হবে। পতাকার মর্যাদা এবং দেশের মর্যাদা রক্ষা করা প্রতিটি সৈনিকের দায়িত্ব। আমাদের সেনা বাহিনীর পদাতিক ব্রিগেড এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পদাতিক ব্যাটালিয়নকে মেকানাইজড হিসেবে রূপান্তরিত করা হয়েছে। আজ পতাকা উত্তোলন করা হলো, যেটা অনেক সম্মানের। সে কথাটা সব সময় মনে রাখতে হবে। আজকে বাংলাদেশে ধারাবাহিক গণতন্ত্র রয়েছে বলেই আমরা আমাদের সর্বক্ষেত্রে সার্বিক উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছি। বাংলাদেশ আজকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। বাংলাদেশ আজকে বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের লক্ষ্য ১ ইঞ্চি জমিও অনবাদি থাকবে না। প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠান যার যেখানে জমি আছে সেটা চাষ করতে হবে, ফসল উৎপাদন করতে হবে। ফল-মূল-তরিতরকারি, মাছ-মুরগি যা হোক, যেহেতু ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং নিষেধাজ্ঞার কারণে উন্নত দেশগুলো হিমশিম খাচ্ছে এবং সেখানে খাদ্যমন্দা দেখা দিচ্ছে। বাংলাদেশেও একই অবস্থা। সেখানে তারও আঘাত বাংলাদেশে এসে পড়েছে। তারপরও আমরা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। ১ কোটি মানুষকে আমরা কার্ড দিয়ে ৩০ টাকা কেজিতে চাল দিচ্ছি। ৩৫ লাখ মানুষকে মাত্র ১৫ টাকা কেজিতে চাল দিচ্ছি। যারা একেবারে কাজ করতে পারে না তাদের বিনা পয়সায় প্রতি মাসে ২৫ থেকে ৪০ কেজি করে চাল দিচ্ছি। এভাবে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি মানুষের জন্য সেবা দিতে।

কাজেই এখন থেকে আমাদের নিজেদের অত্যন্ত সচেতন থাকতে হবে। যেহেতু আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বলছে ২০২৩ হবে সারা বিশ্বে দুর্ভিক্ষের সময়। বাংলাদেশ যেন এই দুর্ভিক্ষকবলিত না হয় তাই আমাদের নিজেদের ভূমিতে নিজেদের উৎপাদন করে, নিজেদের সঞ্চয় এবং কৃচ্ছতা সাধন করে আমাদের চলতে হবে। আমি আশা করি, সবাই সেভাবে চলবেন। আমাদের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি যখন আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করি। ইনশাল্লাহ ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশ হবে, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh transition from autocracy to democracy

Transitioning from autocracy to democracy: The four challenges for Bangladesh

The challenges are not exclusively of the interim government's but of the entire political class.

5h ago