গাজীপুরে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ-গুলি, আটক ১০

গাজীপুরে বিএনপির দলীয় কার্যালয় থেকে শোক র‍্যালি বের হলে পুলিশ তাতে বাধা দেয় এবং লাঠিচার্জ করে। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরে জেলা বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে এবং টিয়ারশেল ও শটগানের গুলি ছুঁড়েছে। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে বিএনপির অন্তত ১০ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। 

সোমবার বিকেলে গাজীপুর শহরে বিএনপি বিক্ষোভ মিছিল বের করলে পুলিশ সেখানে বাঁধা দেয়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ৪ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২০ জন আহত হন।

গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি এ কে এম ফজলুল হক মিলন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে গাজীপুর শহরে জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে সমাবেশ ছিল। সমাবেশ শেষে একটি শান্তিপূর্ণ শোক র‌্যালি দলের কার্যালয় থেকে বের হতে গেলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে।'

বিক্ষোভ মিছিল থেকে বিএনপির অন্তত ১০ নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত

'এক পর্যায়ে পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুঁড়ে র‍্যালি ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় যুবদল নেতা জাকিরসহ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন। এছাড়াও অন্তত ১৫ নেতাকর্মী আহত হন,' যোগ করেন তিনি।

ঘটনাস্থল ও আশেপাশের এলাকা থেকে উপজেলা মহিলা দলের যুগ্ম-সম্পাদক ডালিয়াসহ অন্তত ১০ জনকে পুলিশ আটক করেছে বলেও জানান তিনি।

জানতে চাইলে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) অতিরিক্ত উপসহকারী পুলিশ কমিশনার (অপরাধ-উত্তর) রেজওয়ান আহমেদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা সমাবেশে শেষ করার পরপর সড়ক অবরোধ করে মিছিল বের করার চেষ্টা করে। এ সময় জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে আমরা তাদের মিছিল না করার অনুরোধ করি।'

টিয়ারশেল ও শটগানের গুলি ছুঁড়ে পুলিশ মিছিল ছত্রভং করে দেয়। ছবি: সংগৃহীত

'কিন্তু তারা আমাদের অনুরোধ উপেক্ষা করে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকে এবং ফ্ল্যাগ ও ব্যানারের লাঠিসহ বিভিন্ন লাঠিসোটা নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। এতে এক এসআইসহ পুলিশের ৪ সদস্য আহত হয়,' বলেন তিনি।

পুলিশ এ সময় আত্মরক্ষার্থে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে এবং ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে আটক করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বলে জানান তিনি। 

আহত পুলিশ সদস্যদের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয় বলেও তিনি জানান।  

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল ইসলাম ডেইলি স্টারকে জানান, হামলায় মহানগর পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) উৎপল, কনস্টেবল কামরুল ইসলাম, মনির হোসেন ও সাব্বির হোসেন আহত হন। 

এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Nowfel gained from illegal tobacco trade

Former education minister Mohibul Hassan Chowdhoury Nowfel received at least Tk 3 crore from a tobacco company, known for years for illegal cigarette production and marketing including some counterfeit foreign brands.

8h ago